চার দিনের ব্যবধানে আবারও পঞ্চগড়ের তাপমাত্রা ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে নেমে এসেছে। আজ সোমবার (২৪ নভেম্বর) সকালে রোদের ঝলকানি দেখা গেলেও শীতের তীব্রতা এতটুকু কমেনি। তবে দিনের শুরুতে মিষ্টি রোদ ওঠায় জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলায় নিম্ন আয়ের মানুষদের মধ্যে কর্মচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে। সকাল থেকেই বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ স্বাভাবিক কাজে ফিরতে শুরু করেছেন।
সোমবার সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসে ১৩ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এসময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮২ শতাংশ। এর আগে গতকাল রোববার (২৩ নভেম্বর) সকাল ৯টায় তাপমাত্রা ছিল ১২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায় জানান, হিমালয় বিধৌত এই উপজেলাটির অবস্থান হওয়ায় এটি দেশের অন্যান্য এলাকার তুলনায় শীত আগে নামে এবং তাপমাত্রা অনেক কম থাকে।
বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিদিনের মতো ভোরে হালকা কুয়াশা থাকলেও, তা দ্রুত ভেদ করে পূবালী সূর্য জেগে উঠেছে। এই মিষ্টি রোদের কারণে চা শ্রমিক, পাথর শ্রমিক, ভ্যানচালকসহ বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষের মধ্যে এক ধরনের স্বস্তি ফিরে এসেছে এবং তারা সকালেই কাজে যোগ দিয়েছেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এ অঞ্চলে এখন মূলত সন্ধ্যা ও রাতেই সবচেয়ে বেশি ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত দিনের তাপমাত্রা তুলনামূলকভাবে স্বাভাবিক থাকে। কিন্তু বিকেল গড়াতেই হিমেল হাওয়া বইতে শুরু করে এবং সন্ধ্যা থেকে শীতের তীব্রতা বহুগুণ বেড়ে যায়।
শীতের তীব্রতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে জেলা ও উপজেলা হাসপাতালগুলোতে শীতজনিত রোগব্যাধির প্রকোপ বাড়তে শুরু করেছে। হাসপাতালগুলোর আউটডোরে ঠান্ডাজনিত রোগীর ভিড় লক্ষণীয়। চিকিৎসকরা চিকিৎসা দেওয়ার পাশাপাশি জনসাধারণকে শীতজনিত রোগ থেকে নিরাময় থাকতে নানা স্বাস্থ্য পরামর্শও প্রদান করছেন।
এই কনকনে ঠাণ্ডায় নিম্ন আয়ের ও ছিন্নমূল মানুষেরা সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। স্থানীয় প্রশাসন ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো শীতবস্ত্র বিতরণ শুরু করলেও, প্রয়োজনের তুলনায় তা অপ্রতুল বলে মনে করছেন অনেকে।
ইএফ/