বাগেরহাটের মোংলা উপজেলার সুন্দরবন সংলগ্ন নারকেলতলা এলাকার একটি খালে মৃত কুমির ভাসতে দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন স্থানীয়রা। রোববার সকালে জোয়ারের সময় স্লুইচ গেটের কাছে ভেসে থাকা কুমিরটির গলায় দড়ি এবং শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পরিবেশকর্মী হাছিব সরদার জানান, “কুমিরটির একটি পা বিচ্ছিন্ন, গলায় দড়ি ও সামনের পায়ে রশি বাঁধা ছিল। এটি বেঁধে মারা হয়েছে কিনা, না কি দুর্ঘটনায় মৃত্যু তা তদন্ত হওয়া দরকার।”

স্থানীয়দের ধারণা, কুমিরটি সুন্দরবনের বাসিন্দা। কেউ কেউ মনে করছেন, নদীতে নৌযান বা জাহাজের ধাক্কায় এটি মারা যেতে পারে। তবে গলায় দড়ি বাঁধা থাকায় হত্যার আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।

ঘটনার খবর পেয়ে বন বিভাগের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার আজাদ কবির ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি বলেন, “জোয়ারের সময় কুমিরটি দেখা গিয়েছিল, পরে ভাটায় ভেসে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আমরা আশপাশের নদীতে খোঁজ নিচ্ছি।”

সম্প্রতি মোংলার বুড়িরডাঙ্গা গ্রামেও কুমির আতঙ্কে স্থানীয়দের জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। বন বিভাগ বলছে, কুমির হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হলে দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।