ফরিদপুরে ২০১২ সালের এক ভয়াবহ ঘটনার ন্যায়বিচার হয়েছে। শ্যালিকাকে (২৫) গণধর্ষণ ও হত্যার দায়ে তার দুলাভাইসহ চারজনকে আমৃত্যু কারাদণ্ড প্রদান করেছে জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল। বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে বিচারক শামীমা পারভীন রায় ঘোষণা করেন।
আদালত জানায়, হত্যার ঘটনায় চারজনকে আমৃত্যু কারাদণ্ড এবং ধর্ষণের ঘটনায় জীবনভর সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেককে আর্থিক জরিমানা হিসেবে হত্যার জন্য ৫০ হাজার টাকা এবং ধর্ষণের জন্য এক লাখ টাকা করে দিতে হবে।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন দুলাভাই জাহাঙ্গীর বেপারী (৩৮), একই গ্রামের কামরুল মৃধা (৩৮), আলী বেপারী (৪৩) এবং চরদড়ি কৃষ্ণপুর গ্রামের বক্কার বেপারী (৩৮)।
মামলার আরও দুই আসামি মমতাজ বেগম (৬৩) ও আলী বেপারীর বাবা আবুল কালাম বেপারী (৬৮) আলামত নষ্ট করার দায়ে ৫ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড ও জরিমানা, অনাদায়ে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড পাবেন।
রায়ের সূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালের ১ অক্টোবর রাত ১টার দিকে জাহাঙ্গীর বেপারী ও সহযোগীরা শিকার নারীর বাড়িতে প্রবেশ করে তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে এবং শ্বাসরোধে হত্যা করে। ঘটনার পর মায়ের বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ পাঁচ বছর তদন্ত শেষে ফরিদপুর ডিবি অভিযুক্তদের আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
মামলার সরকারি কৌঁসুলি গোলাম রব্বানী ভুঁইয়া বলেন, দীর্ঘসূত্রিতা থাকলেও রায় ঘোষণার মাধ্যমে ভুক্তভোগী পরিবার ন্যায়বিচার পেয়েছে।