সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে আদা আমদানি বাড়ায় দেশের বাজারে দামের চাপ কমতে শুরু করেছে এতে স্বস্তি ফিরে এসেছে সাধারণ ক্রেতাদের মুখে। চাহিদা বাড়লেও গত এক মাসে উল্লেখযোগ্যভাবে মূল্য কমে আসার পেছনে প্রধান ভূমিকা রাখছে নিয়মিত আমদানি, বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ী ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
ভোমরা শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫–২৬ অর্থবছরের জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত মাত্র চার মাসে ১৬ হাজার ৯৪৫ টন আদা আমদানি হয়েছে। যার আর্থিক মূল্য দাঁড়িয়েছে ২০৫ কোটি ৯০ লাখ টাকা। গত অর্থবছরের একই সময়ে আমদানি ছিল ১৫ হাজার ৩০৮ টন। তুলনায় এবছর আমদানি বেড়েছে ১ হাজার ৬৩৭ টন, অর্থাৎ চাহিদা মেটাতে আমদানি দ্বিগুণ গতিতে চলছে।
এই বাড়তি সরবরাহের ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে বাজারে। সুলতানপুর বড় বাজারে খুচরা পর্যায়ে যেখানে এক মাস আগে প্রতি কেজি আদা বিক্রি হচ্ছিল ১৭০–১৮০ টাকায়, সেখানে এখন দাম নেমে এসেছে ১১৫–১২০ টাকায়। প্রায় ৫০–৬০ টাকা কমে যাওয়ায় স্বস্তি অনুভব করছেন ক্রেতারা।
মেসার্স সরদার স্টোরের বিক্রেতা আবদুল মান্নান জানান, “আগে আমদানি কম থাকায় পাইকারিতে চাপ ছিল, তাই দামও বেশি ছিল। এখন প্রতিদিনই ট্রাক আসছে। পাইকারি দাম কমায় খুচরা বাজারেও তা পড়ে গেছে।”
ক্রেতা আশিকুর রহমান বলেন, “রান্নাঘরের খরচে আদা বড় অংশ। আগে কেজিতে ১৮০ টাকা দিতে হতো, এখন ১১৫ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে—এটা মাঝারি আয়ের পরিবারের জন্য অনেক বড় স্বস্তি।”
কৃষি বিপণন কর্মকর্তা এসএম আব্দুল্লাহ জানান, স্থানীয় নতুন আদা বাজারে ওঠা এবং বাড়তি আমদানির কারণে সরবরাহ স্থিতিশীল হয়েছে। ফলে বাজারে দামের চাপ দ্রুত কমে গেছে।
ব্যবসায়ীরা আশা করছেন, আমদানি ধারাবাহিক থাকলে এবং স্থানীয় উৎপাদন বাড়লে সামনের দিনগুলোতে আদার বাজার আরও স্থিতিশীল থাকবে। তবে আন্তর্জাতিক বাজারদর, পরিবহন খরচ ও নীতিগত সিদ্ধান্তের ওপর ভবিষ্যৎ মূল্য অনেকটাই নির্ভর করবে।