দীর্ঘদিন ধরে বরাদ্দের অভাবে বন্ধ পড়ে থাকা পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের নবনির্মিত বহুতল ভবন চালুর উদ্যোগে অর্থ সহায়তা দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। সংগঠনটি হাসপাতাল পরিচালনা তহবিলে ১০ লাখ টাকার অনুদান প্রদান করেছে।
রোববার (২ নভেম্বর) দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য ও এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম জেলা প্রশাসক সাবেত আলীর হাতে চেকটি হস্তান্তর করেন।
অনুদান প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সিভিল সার্জন ডা. মিজানুর রহমান, পঞ্চগড় জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা ইকবাল হোসাইন, জেলা সেক্রেটারি মাওলানা দেলওয়ার হোসাইন, গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক মাহফুজার রহমান, জাগপার সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার আলম বিপ্লব, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সভাপতি আব্দুল হাই, খেলাফত মজলিসের সভাপতি হাফেজ মীর মোর্শেদ তুহিন, ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক ফজলে রাব্বী প্রমুখ।
মাওলানা আব্দুল হালিম বলেন, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও খাদ্যের মতো মৌলিক খাতে দলমত নির্বিশেষে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। আমাদের অনুদান কোনো রাজনৈতিক প্রচারণার জন্য নয়, বরং মানবিক দায়িত্ববোধ থেকে দেওয়া।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ আমাদের সবার প্রিয় দেশ। এই দেশ গড়তে হলে নাগরিক হিসেবে দায়িত্ববোধ নিয়েই এগিয়ে আসতে হবে। ভালো কাজের মাধ্যমে আমরা জাতিকে সমৃদ্ধ করতে পারি।
অনুষ্ঠান শেষে জামায়াতের প্রতিনিধি দল হাসপাতালের নতুন ভবন পরিদর্শন করে। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মাওলানা হালিম বলেন, জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি গণভোটের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা না হলে তার মূল্য কমে যাবে। আমরা চাই নির্বাচন ও গণভোট উভয় প্রক্রিয়া একসঙ্গে সম্পন্ন হোক।
তিনি আরও জানান, জামায়াত কারও শত্রু নয়। ভিন্ন রাজনৈতিক মত থাকতেই পারে, কিন্তু দেশের স্বার্থে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে চাই। আটটি দল এখন গণভোটসহ বিভিন্ন জাতীয় দাবিতে একত্রে আন্দোলন করছে।
পঞ্চগড় সদর হাসপাতালকে ১০০ শয্যা থেকে ২৫০ শয্যায় উন্নীত করার লক্ষ্যে কয়েক বছর আগে নতুন ভবন নির্মাণ করা হলেও প্রয়োজনীয় বরাদ্দ ও জনবল না থাকায় তা চালু করা সম্ভব হয়নি। জেলা প্রশাসন সম্প্রতি হাসপাতাল সচল করতে একটি যৌথ তহবিল গঠন করেছে, যেখানে বিভিন্ন সংগঠন ও রাজনৈতিক দল সহযোগিতা শুরু করেছে।