ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) একাধিক ছাত্রকে দীর্ঘ সময় ধরে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. এরশাদ হালিমকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আলম তাঁর জামিনের আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

গ্রেফতার ও অভিযোগ: বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে রাজধানীর শ্যাওড়াপাড়ার নিজ বাসা থেকে এই শিক্ষককে আটক করে পুলিশ। ওই রাতেই ভুক্তভোগী এক শিক্ষার্থী অধ্যাপক হালিমের বিরুদ্ধে মিরপুর মডেল থানায় যৌন নিপীড়ন ও মারধরের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, রসায়ন বিভাগের ওই ছাত্র গত ২৬ সেপ্টেম্বর একটি পরীক্ষাসংক্রান্ত জটিলতা নিয়ে শিক্ষক এরশাদ হালিমের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়ে তাঁকে শ্যাওড়াপাড়ার বাসায় যেতে বলেন। ছাত্রটি সেখানে গেলে তিনি যৌন হয়রানির শিকার হন।

মারধর ও হয়রানি: অভিযোগপত্রে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, পরবর্তীতে ওই শিক্ষক ফোন করে ছাত্রটিকে বারবার বাসায় ডাকেন। এক পর্যায়ে, পরীক্ষার জটিলতা জানতে পারলে অসুস্থ বাবার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে পারে ভেবে ছাত্রটি গত ১৪ অক্টোবর রাতে আবারও শিক্ষকের বাসায় যেতে বাধ্য হন। সেখানে যাওয়ার পর তাঁকে মারধর করার পাশাপাশি যৌন নির্যাতনও করা হয় বলে মামলায় দাবি করা হয়েছে।

আদালতে আসামিপক্ষের আইনজীবী জামিনের আবেদন করে বলেন, এটি অভ্যন্তরীণ অফিসিয়াল রাজনীতির শিকার এবং বয়স্ক এই শিক্ষককে হয়রানি করতেই মামলায় জড়ানো হয়েছে। তবে আদালত উভয় পক্ষের শুনানি শেষে জামিন নাকচ করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। সম্প্রতি রসায়ন বিভাগের কয়েকজন শিক্ষার্থী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এরশাদ হালিমের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ তুলেছিলেন।

ইএফ/