খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) কর্মচারী মো. মহসিন শেখ লিটু এবং চিহ্নিত মাদক কারবারি কানা মেহেদীর বাড়িতে মঙ্গলবার ভোররাতে সন্ত্রাসীরা গুলিবর্ষণ করেছে। মহেশ্বরপাশা খুঠিরঘাট এলাকায় প্রথমে মেহেদীর বাড়ি এবং পরবর্তীতে কুয়েট কর্মচারীর বাড়ি লক্ষ্য করে গুলি করা হয়।
প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, লিটুর বাড়িতে ছয় রাউন্ড এবং মেহেদীর বাড়িতে নয় রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়। কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি, তবে হামলার কারণে এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।
কুয়েটের ইনস্টিটিউট অব ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্টের (আইডিএম) ডাটা প্রসেসর মহসিন শেখ লিটু জানান, ভোর ৫টা ৩৫ মিনিটের দিকে গুলি শুরু হয়। তিনি তখন মসজিদে ফজরের নামাজ আদায় করছিলেন। বাড়িতে তার স্ত্রী ও সন্তানরা ছিলেন। “কারও ক্ষতি হয়নি, তবে জানালার কাচ ভেঙে গেছে। পরিবারের সদস্যরা আতঙ্কে রয়েছেন,” তিনি বলেন।
সিসি টিভি ফুটেজে দেখা গেছে, চারটি মোটরসাইকেলে হেলমেট পরিহিত কয়েকজন যুবক লিটুর বাড়ির প্রধান ফটকের সামনে দাঁড়িয়ে দ্রুত গুলি ছুঁড়তে থাকে এবং এরপর ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। লিটু বলেন, “আমি একজন চাকরিজীবী। আমার সঙ্গে কারও কোনো শত্রুতা নেই। কেন এমন ঘটনা ঘটেছে বুঝতে পারছি না।”
দৌলতপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিক ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, লিটুর বাড়ির সামনে থেকে ছয় রাউন্ড এবং মেহেদীর বাড়ি থেকে নয় রাউন্ড গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়েছে। সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে জানিয়েছেন, চিহ্নিত মাদক কারবারি কানা মেহেদীর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে এবং হামলার পেছনের উদ্দেশ্য উদঘাটনের চেষ্টা করছে।
ঘটনাটি আবারও খুলনার নিরাপত্তা সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে এবং স্থানীয় প্রশাসন সতর্কতা বৃদ্ধির নির্দেশ দিয়েছেন।