কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার পদ্মা নদীর চরে খড় কাটাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে নৌপুলিশ নদী থেকে লিটন সরকার (২৬) নামে আরও এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে। এতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় তিনে। নিহত লিটন কুষ্টিয়ার রায়টা নতুনহাট এলাকার জামিরুল ঘোষের ছেলে।
নৌপুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সোমবার (২৭ অক্টোবর) সকালে দৌলতপুর উপজেলার চর এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও খড় কাটার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে কাঁকন গ্রুপ ও মণ্ডল গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলি হয়। ঘটনাস্থলেই দুজন নিহত হন। পরদিন সকালে নদীতে ভেসে ওঠে লিটনের মরদেহ।
নিহত লিটনের বড় ভাই আলী হোসেন জানান, তার ভাই কৃষিকাজ করতেন এবং জীবিকা নির্বাহের জন্য চর এলাকায় কাজ করতে গিয়েছিলেন।
স্থানীয়রা বলেন, চর এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে দুটি প্রভাবশালী গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। সোমবার সকালে উভয়পক্ষ খড় কাটতে গেলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং মুহূর্তেই সংঘর্ষ শুরু হয়। গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান আমান মণ্ডল (৩৬) ও নাজমুল হোসেন (৩৩)। পরে নদী থেকে লিটনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
দৌলতপুর থানার ওসি মজিবুর রহমান বলেন, “লিটন নামে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি সোমবারের গোলাগুলির সময় আহত হয়ে নদীতে পড়ে যান।”
অন্যদিকে, ঈশ্বরদী নৌপুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই শফিউদ্দিন জানান, “লিটনের শরীরে গুলিসহ একাধিক জখমের চিহ্ন পাওয়া গেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তিনি কাঁকন বা মণ্ডল গ্রুপের সদস্য ছিলেন। তবে ঘটনার সঠিক কারণ ও দায়ী ব্যক্তিদের শনাক্তে তদন্ত চলছে।”
ঘটনার পর থেকে পুরো চরাঞ্চলে উত্তেজনা বিরাজ করছে। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়েছে। এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে, আর প্রশাসন বলছে—এই সহিংসতার মূল কারণ উদঘাটনে কঠোর তদন্ত চলছে।