অর্ধযুগের বেশি সময় ধরে লোকসানে থাকা হামি ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির পর্ষদ কোম্পানির চট্টগ্রামের পাহাড়তলীতে অবস্থিত কারখানার দুটি অংশ এরই মধ্যে ভাড়া দিয়েছে। নতুন করে কোম্পানিটি আরও একটি অংশ ভাড়া দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ লক্ষ্যে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটি অপর একটি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। এর মাধ্যমে কোম্পানিটি ধারাবাহিক লোকসানের মাত্রা কমিয়ে আনতে চায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মাধ্যমে সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) এ তথ্য জানিয়েছে হামি ইন্ডাস্ট্রিজ।
তথ্য অনুযায়ী, ‘আরকেএম অ্যাপারেলস লিমিটেড’ এর সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটি। চুক্তিতে উল্লেখ রয়েছে, হামি ইন্ডাস্ট্রিজের চট্টগ্রামের পাহাড়তলীর সাগরিকা সড়কে অবস্থিত ৩৫ হাজার বর্গফুটের কারখানার মধ্যে ১৪ হাজার বর্গফুট ওই প্রতিষ্ঠানটি ব্যবহার করবে। আগামী বুধবার (১ অক্টোবর) থেকে যা কার্যকর হবে। চুক্তির মেয়াদ পাঁচ বছর।
এর আগে সুইফট নেক্সাস কর্পোরেশনের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটি। ওই চুক্তি অনুযায়ী, গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে পরবর্তী ৮ মাস হামি ইন্ডাস্ট্রিজের চট্টগ্রামের পাহাড়তলীর সাগরিকা সড়কে অবস্থিত ৩৫ হাজার বর্গফুটের কারখানার মধ্যে ২ হাজার ৩৫০ বর্গফুট ওই প্রতিষ্ঠানটি ব্যবহার করবে। তারও আগে মার্চ মাস থেকে একই কারখানার ৬ হাজার ৭২৫ বর্গফুট লুব্রিকেন্ট এশিয়া লিমিটেড নামের অপর এক প্রতিষ্ঠানের কাছে ভাড়া দেয় হামি ইন্ডাস্ট্রিজ। ওই চুক্তির মেয়াদ ২ বছর।
এরই মধ্যে ৩৫ হাজার বর্গফুটের কারখানা থেকে ২৩ হাজার ৭৫ বর্গফুট ভাড়া দিলো কোম্পানিটি। ভবিষতে কারখানার আরও কিছু অংশ ভাড়া দেওয়া হতে পারে।
এ বিষয়ে হামি ইন্ডাস্ট্রিজের কোম্পানি সচিব মো. ওসমান গনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘আমাদের কারখানায় বড় একটা অংশ অব্যবহৃত থাকতো। এজন্য পর্ষদ সেটির একটা অংশ ভাড়া দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এখনো বেশ কিছু অংশ অব্যবহৃত রয়ে যাচ্ছে। ভবিষতে সেই অংশের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। বর্তমানে আমাদের কারখানার একটি অংশে লেদার প্রক্রিয়াকরণের কাজ চলমান রয়েছে। এর বাইরে আমাদের দুটি মাছ চাষের প্রকল্প রয়েছে।’
কোম্পানিটি মূল ব্যবসা থেকে ছিটকে পড়ায় দীর্ঘ বছর ধরে দুরাবস্থায় রয়েছে। গত বছর কোম্পানিটির সর্বেসর্বা ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) আকস্মিক মৃত্যুতে এটি আরো বেশি অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে। দীর্ঘ বছরের ঘাটতিতে থাকা কোম্পানিটির রিজার্ভও বড় ঘাটতি রয়েছে।
মাত্র সাড়ে ৭ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধনের এই কোম্পানিটির মোট শেয়ারের মধ্যে ৫৪ শতাংশের বেশি মালিকানা সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে। জেড ক্যাটাগরিতে থাকা এই কোম্পানিটি পুঁজিবাজারে ‘কারসাজি আইটেম’ হিসেবে পরিচিত।