দেশে কাঁচাপাটের বাজারে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় রপ্তানি সীমিত করলেও দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি।
মন্ত্রণালয় সম্প্রতি ১২ প্রতিষ্ঠানকে ২ হাজার ৯৮৪ টন পাট রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে, যা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে পাটকল মালিকরা।

বিজেএসএ ও বিজেএমএ জানিয়েছে, পাটের ঘাটতি মারাত্মক পর্যায়ে পৌঁছেছে। আগস্টে যেখানে প্রতি মণ পাটের দাম ছিল ৩,৪০০–৩,৭০০ টাকা, এখন তা বেড়ে ৪,৫০০ টাকায় দাঁড়িয়েছে।

বিজেএসএ চেয়ারম্যান তপস প্রামাণিক বলেন, “অসুস্থ প্রতিযোগিতা চলছে, অনেকে মজুত করছে। ফলে প্রকৃত মিলমালিকরা কাঁচামাল পাচ্ছেন না।”
তিনি সতর্ক করেন, এই ধারা চললে লাখ লাখ শ্রমিক বেকার হয়ে পড়বে।

বিজেএমএ চেয়ারম্যান আবুল হোসেন বলেন, “পাটশিল্প টিকিয়ে রাখতে অবকাঠামো উন্নয়ন, দুর্নীতি দমন ও ন্যূনতম মূল্য নির্ধারণ জরুরি।”

ইপিবি তথ্য বলছে, ২০২০-২১ অর্থবছর থেকে পাট ও পাটজাত পণ্যের রপ্তানি কমছে ধারাবাহিকভাবে। ব্যবসায়ীরা এখন অভ্যন্তরীণ বাজার স্থিতিশীল না হওয়া পর্যন্ত রপ্তানি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করার দাবি তুলেছেন।