বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) কুষ্টিয়ার ছেঁউড়িয়ায় আখড়াবাড়িতে জাঁকজমকভাবে অনুষ্ঠিত হলো লালন সাঁইয়ের তিরোধান দিবস। দেশ-বিদেশের নানা প্রান্ত থেকে লালন ভক্তরা মিলনমেলায় অংশ নেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী চমক, যিনি সাদা শাড়ি, রঙিন গামছা, হলুদ গাঁদা ফুলের মালা এবং হাতে একতারা নিয়ে উপস্থিত হয়ে আখড়ার পরিবেশে নিজেকে লালনভক্তের মতো উপস্থাপন করেন।
চমক সামাজিক মাধ্যমে জানান, তার ভিডিওটি ১ মিনিট ৫২ সেকেন্ড দৈর্ঘ্যের, যেখানে কুষ্টিয়ার আখড়াবাড়ি, লালন শাহের জীবন ও দর্শন এবং বাউলদের পরিবেশ ফুটে উঠেছে। ভিডিওতে দেখা যায়, চমক একতারা হাতে গান গাইছেন, আখড়ার মানুষের ভিড়ে হেটে যাচ্ছেন এবং লালন সাঁইয়ের দর্শন সম্পর্কে দর্শকদের জানান। তিনি বলেন: লালন শাহ, একজন বাংলার সাধক। ২০০ বছরেরও বেশি আগে, কুষ্টিয়ার এক ছোট গ্রামে কালীগঙ্গা নদীর পাশে একটি অসুস্থ ছেলেকে উদ্ধার করা হয়েছিল, যিনি পরে লালন ফকির বা লালন শাহ নামে পরিচিত হন। আজ আমরা লালন মেলায় আছি, যেখানে বিশ্বাস, স্বাধীনতা এবং লোকজ্ঞান এক আকাশের নিচে মিলিত হয়।
চমক তার ভ্লগের শিরোনাম দিয়েছেন ‘চমকের সাথে বাংলাদেশকে আবিষ্কার। পর্ব-৪’। ভিডিওতে তিনি লালন মেলা, আখড়াবাড়ির আলোকসজ্জা, একতারা ও ডুগডুগির পরিবেশ তুলে ধরেছেন। এছাড়া লালনের জীবন ও দর্শনকে গ্রাফিক্সের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে। কালীগঙ্গা নদীর তীরে অসুস্থ অবস্থায় পড়া লালন এবং তাকে বাঁচানো একজন মুসলিম নারীর দৃশ্য ভিডিওতে বিশেষভাবে প্রদর্শিত হয়েছে।
চমক পোস্টে লিখেছেন: সুধীজনেরা, এখানে আমি উপস্থাপন করছি— আমাদের আত্মা ও মাটির সংগীত, আমাদের আধ্যাত্মিক শিকড়, আমাদের লালনকে বিশ্ববাসীর কাছে।
নেটিজেনরা চমকের এই নতুন ধরনের কনটেন্টকে ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করেছেন। কেউ লিখেছেন, “এই যে না হইল আসল চমকের চমৎকার টাইপের কনটেন্ট”, আরেকজন লিখেছেন, “এই ধরনের কনটেন্টের জন্যই আমি ইন্টারনেটের বিল দিতেও রাজি।”
এই ধাঁচের ভ্লগ থেকে বোঝা যায়, চমক তার ‘ডিসকভারিং বাংলাদেশ উইথ চমক’ ধারাবাহিক কনটেন্টের মাধ্যমে দেশের লোকসংস্কৃতি ও আধ্যাত্মিক শিক্ষাকে আন্তর্জাতিক দর্শকের কাছে তুলে ধরতে আগ্রহী।