যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০২৮ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তৃতীয়বারের মতো প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা স্পষ্টভাবে নাকচ করে দিয়েছেন। যদিও গত কয়েক মাস ধরেই তার সম্ভাব্য তৃতীয় দফার প্রার্থিতা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে আলোচনা চলছিল।
রোববার (২ নভেম্বর) মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিবিএস নিউজের জনপ্রিয় অনুষ্ঠান '৬০ মিনিটস'-এ দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এই ঘোষণা দেন।
সাক্ষাৎকারে সঞ্চালক নোরা অ’ডনেল ট্রাম্পকে সরাসরি প্রশ্ন করেন, তিনি কি তৃতীয় দফায় প্রার্থী হওয়ার কথা ভাবছেন কিনা? জবাবে ট্রাম্প বলেন, “আমি এটা নিয়ে একদমই ভাবি না। তবে বলতে পারি, অনেক মানুষ চায় আমি আবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করি।”
মার্কিন সংবিধানের ২২তম সংশোধনী অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি সর্বোচ্চ দুই মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে পারেন। ট্রাম্প যেহেতু একবার প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন, তাই তার দ্বিতীয়বার নির্বাচিত হওয়ার সুযোগ থাকলেও তৃতীয়বার নির্বাচিত হওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
তবে ট্রাম্পের কিছু সমর্থক পরামর্শ দিয়েছিলেন যে, এই সাংবিধানিক নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে যাওয়ার একটি কৌশল হতে পারে ট্রাম্প প্রথমে ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। নির্বাচিত হওয়ার পর প্রেসিডেন্ট পদত্যাগ করলে তিনি আবার প্রেসিডেন্টের পদে বসতে পারবেন।
এই ধরনের কৌশল নিয়ে ট্রাম্প তার অবস্থান পরিষ্কার করেছেন। গত সোমবার মালয়েশিয়া থেকে টোকিও যাওয়ার পথে এয়ার ফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প বলেন, “সংবিধান অনুযায়ী আমার সেটা করার সুযোগ থাকবে। তবে আমি এটা করব না। আমি মনে করি এটা ‘খুব বেশি চালাকি’। হ্যাঁ, আমি এটাকে বাতিল করব। কারণ, এটা খুব বেশি চালাকি। আমার মনে হয় মানুষ এটা পছন্দ করবে না। এটা ঠিক হবে না।”
নিজের সম্ভাব্য উত্তরসূরিদের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে ট্রাম্প ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও-সহ অন্যান্যদের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, “আমি দুজনকেই পছন্দ করি। আসলে আমি অনেককেই পছন্দ করি। আমাদের দলে অসাধারণ একটি টিম আছে—একটা চমৎকার বেঞ্চ। চাইলে দুজনকেও একসঙ্গে প্রার্থী করা যায়। তাই এখনই নির্বাচন নিয়ে কথা বলতে চাই না। এটা অনেক আগে হয়ে যায়।”
ট্রাম্পের এই ঘোষণা তার ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক আকাঙ্ক্ষা নিয়ে চলমান বিতর্ককে আপাতত থামিয়ে দিল।
ইএফ/