ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “প্রধানমন্ত্রী ও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মধ্যে এ বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। ভারতের জ্বালানি নীতি সম্পূর্ণভাবে দেশীয় চাহিদা ও নিরাপত্তার ওপর নির্ভরশীল।”
এর আগে ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, মোদি তাকে আশ্বাস দিয়েছেন যে ভারত ধীরে ধীরে রাশিয়া থেকে তেল কেনা বন্ধ করবে। তিনি বলেন, “যখন ভারত এটি করবে, তখন ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করা সহজ হবে।”
তবে নয়াদিল্লি জানিয়েছে, ট্রাম্পের বক্তব্য ‘ভিত্তিহীন ও বিভ্রান্তিকর’। ভারতের জ্বালানি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ভারতীয় বাজারের স্থিতি ও নাগরিক স্বার্থই তাদের অগ্রাধিকার, কোনো বিদেশি চাপ নয়।
ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলো ভারতের রুশ তেল ক্রয়ের সমালোচনা করে আসছে। এ বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন, “ভারত নিজের স্বার্থেই সবচেয়ে ভালো চুক্তি করে।”
নতুন এই প্রতিক্রিয়া ভারত-যুক্তরাষ্ট্র কূটনৈতিক সম্পর্কে সাময়িক অস্বস্তি তৈরি করেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।