ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির ঐতিহাসিক লাল কেল্লার কাছে আত্মঘাতী গাড়ি বোমা বিস্ফোরণের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে আরও চারজনকে গ্রেফতার করেছে দেশটির জাতীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ)। গ্রেফতারকৃত এই চারজনের মধ্যে তিনজনই চিকিৎসক। এর আগে আরও দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল, ফলে এই মামলায় মোট গ্রেফতারের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ছয়জনে।

এনআইএ বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে নতুন গ্রেফতারকৃতদের পরিচয় নিশ্চিত করেছে। তারা হলেন: জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামার চিকিৎসক মুজাম্মিল শাকিল গনাই, আনন্তনাগের ডা. আদিল আহমেদ রাথার, উত্তর প্রদেশের লক্ষ্ণৌয়ের ডা. শাহিন সাঈদ এবং জম্মু ও কাশ্মীরের শোপিয়ানের মুফতি ইরফান আহমেদ ওয়াগায়। এনআইএ জানিয়েছে, তদন্ত অনুযায়ী গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিরা সন্ত্রাসী হামলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। চারজন অভিযুক্তকে দিল্লির পাটিয়ালা হাউস আদালতের বিশেষ এনআইএ আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাদের ১০ দিনের হেফাজতে পাঠিয়েছে।

এর আগে এই মামলায় গাড়ির মালিক রাশিদ আলি এবং প্রযুক্তিগত সহায়তাকারী জাসির বিলাল ওয়ানিকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। গত ১০ নভেম্বর সন্ধ্যায় লাল কেল্লার একটি মেট্রো স্টেশনের কাছে একটি আত্মঘাতী গাড়িবোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছিল। এতে গাড়ির চালকসহ মোট ১৩ জন নিহত এবং কমপক্ষে ২৭ জন আহত হন। প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, বিস্ফোরণে ব্যবহৃত হুন্দাই আই ২০ গাড়িটির চালক ছিলেন জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামার বাসিন্দা ডা. উমর নবী। এই ঘটনায় ডাক্তারদের সম্পৃক্ততা পুরো ঘটনাটিকে আরও বেশি চাঞ্চল্যকর করে তুলেছে।

ইএফ/