ঘোষিত যুদ্ধবিরতির মধ্যেই ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলা থামছে না। দখলদার বাহিনীর হামলায় শিশুসহ আরও চার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আল-জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, দক্ষিণের বানি সুহেইলায় ড্রোন হামলায় একজন এবং উত্তর গাজা সিটিতে অবিস্ফোরিত বোমা ফেটে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে আরও কয়েকটি শিশু। দিনভর উত্তর ও দক্ষিণ গাজায় ইসরায়েলি সেনারা কামান, বিমান ও হেলিকপ্টার হামলা চালিয়েছে।

গাজা সরকারের মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতি শুরুর পর থেকে বিভিন্ন স্থান থেকে এ পর্যন্ত মোট ৫৮২টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মধ্য গাজার মাগাজি শরণার্থী শিবিরে আগের এক হামলায় একই পরিবারের আটজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে সিভিল ডিফেন্স। ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও সাড়ে ৯ হাজারের বেশি মানুষ নিখোঁজ রয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

অস্ত্রবিরতির মধ্যেও দখলকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি সেনাদের অভিযান অব্যাহত আছে। সোমবার ভোরে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ১৬ ফিলিস্তিনিকে আটক করা হয়েছে। তুলকারেম, বেথলেহেম, রামাল্লাহ, জেনিন ও তুবাসে এই অভিযান চালানো হয়। রোববার রাতে রামাল্লাহর দেইর জরিরে ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে ২০ বছর বয়সী আইনশাস্ত্রের ছাত্র বারাআ খাইরি আলি মালি নিহত হন।

স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, বসতি স্থাপনকারীদের ওপর হামলার অভিযোগে ইসরায়েলি সেনারা ঘটনাস্থলে এসে গুলি চালায়। এছাড়া বসতি স্থাপনকারীরা ফিলিস্তিনি জমিতে আগুন দিয়েছে, যাতে বহু জমি ও জলপাইগাছ পুড়ে গেছে।

২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বাহিনী ও বসতি স্থাপনকারীদের হাতে ১ হাজার ৮১ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, আহত ১০ হাজারের বেশি এবং আটক ২০ হাজারের বেশি।

রোববার ইসরায়েলি হামলায় নিহত হিজবুল্লাহর জ্যেষ্ঠ কমান্ডার হাইথাম আলী তাবাতাবাইয়ের জানাজা সোমবার বৈরুতের দক্ষিণে অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনটির নেতা মাহমুদ ক্বোমতি ঘটনাটিকে অস্ত্রবিরতির লঙ্ঘন বলে মন্তব্য করেছেন। বিশ্লেষকদের মতে, হিজবুল্লাহ পাল্টা হামলা চালালে বড় ধরনের ইসরায়েলি আক্রমণের ঝুঁকি রয়েছে।

ইএফ/