যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কানাডা থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর আরও ১০ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন। এক প্রচারণা বিজ্ঞাপনকে কেন্দ্র করে কানাডার বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেই তিনি এ সিদ্ধান্ত নেন।
শনিবার (২৫ অক্টোবর) ট্রাম্প নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দিয়ে বলেন, “কানাডা প্রতারণামূলক ও শত্রুতামূলক আচরণ করছে। তারা যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তা রক্ষা করেনি। তাই বিদ্যমান হারের ওপর আরও ১০ শতাংশ শুল্ক বাড়ানো হচ্ছে।”
সম্প্রতি অন্টারিও প্রদেশ থেকে প্রচারিত এক “অ্যান্টি-ট্যারিফ” বিজ্ঞাপনে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যানের বক্তব্য ব্যবহার করা হয়। ওই বিজ্ঞাপন যুক্তরাষ্ট্রের জনগণকে শুল্কনীতির বিরুদ্ধে উদ্বুদ্ধ করার প্রচেষ্টা হিসেবে ছড়িয়ে পড়ে। ট্রাম্প একে “প্রতারণামূলক” ও “আমেরিকা-বিরোধী” আখ্যা দিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া জানান।এর আগে বৃহস্পতিবার ট্রাম্প প্রশাসন কানাডার সঙ্গে চলমান বাণিজ্য আলোচনা থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেয়।
অন্টারিওর প্রিমিয়ার ডাগ ফোর্ড জানান, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উত্তেজনা কমাতে বিজ্ঞাপন প্রচার স্থগিতের কথা ভাবা হয়েছিল, তবে তা শেষ পর্যন্ত ওয়ার্ল্ড সিরিজ সম্প্রচারের সময় প্রচার করা হবে।
বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র কানাডার সব পণ্যের ওপর গড়ে ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে, তবে কিছু পণ্য মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির আওতায় শুল্কমুক্ত। ধাতু খাতে শুল্ক ৫০ শতাংশ এবং অটোমোবাইল খাতে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত। ট্রাম্পের নতুন ঘোষণায় এই হার আরও ১০ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে।
কানাডার মোট রপ্তানির প্রায় ৭৫ শতাংশ যুক্তরাষ্ট্রে যায়। এর মধ্যে বড় অংশই আসে অন্টারিওর অটোমোবাইল শিল্প থেকে। নতুন শুল্ক আরোপে সেই খাতটি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের এই পদক্ষেপ দুই দেশের মধ্যে নতুন করে বাণিজ্য উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে, যা উত্তর আমেরিকার অর্থনীতিতে বড় প্রভাব ফেলতে পারে।
ইএফ/