ইউরোপের ক্রমবর্ধমান ইসলামবিরোধী ধারা এবার ছুঁয়ে গেল পর্তুগালকে। শুক্রবার দেশটির পার্লামেন্টে জনসমাগমপূর্ণ স্থানে বোরকা পরা নিষিদ্ধ করে একটি নতুন আইন পাস হয়েছে। বিলটি উত্থাপন করেছিল কট্টর ডানপন্থি ‘চেগা পার্টি’, যারা দাবি করেছে বোরকা নারীদের স্বাধীনতার পরিপন্থী।
বিল পাসের সময় পার্লামেন্টে ব্যাপক বিতর্ক হয়। চেগা দলের এমপিরা যুক্তি দেন, “পর্তুগালের বহু নারী পারিবারিক বা ধর্মীয় চাপে বোরকা পরতে বাধ্য হন, এটি একধরনের মানসিক নির্যাতন।”
আইন অনুযায়ী, এখন থেকে জনসমাগমে কেউ এমন পোশাক পরতে পারবেন না যা মুখমণ্ডল ঢেকে রাখে। আইন ভঙ্গ করলে ২০০ থেকে ৪ হাজার ইউরো পর্যন্ত জরিমানা দিতে হবে।
তবে বিরোধী দলগুলোর দাবি, নতুন আইনটি পর্তুগালের ধর্মীয় স্বাধীনতার পরিপন্থী এবং এটি মুসলিম নারীদের লক্ষ্য করে তৈরি করা হয়েছে। বিরোধীরা বলছে, “এই আইন বৈষম্যমূলক এবং একটি সংখ্যালঘু ধর্মীয় সম্প্রদায়কে হেয় করার কৌশল।”
উল্লেখ্য, ইউরোপে এর আগে বেলজিয়াম, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ডস, অস্ট্রিয়া ও সুইজারল্যান্ডেও বোরকা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ফলে পর্তুগাল এখন ইউরোপের ষষ্ঠ দেশ যেখানে এ ধরনের আইন কার্যকর হলো।
মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, পর্তুগালের এই সিদ্ধান্ত ইউরোপে ধর্মীয় স্বাধীনতার সংকোচনকে আরও গভীর করবে।