গাজায় যুদ্ধবিরতির মধ্যেও আবারও রক্তপাত। শুক্রবার সন্ধ্যায় গাজার জায়তুন এলাকায় আবু শাহবান পরিবারের গাড়িতে ইসরায়েলি ট্যাংকের গোলা নিক্ষেপ করে দখলদার বাহিনী। ভয়াবহ এ হামলায় ১১ জন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে রয়েছে সাত শিশু ও তিন নারী।
গাজার সিভিল ডিফেন্সের মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল জানান, নিহত পরিবারটি তাদের ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি পরিদর্শনে যাচ্ছিল। তিনি বলেন, “তাদের সতর্ক করা যেত, কিন্তু সরাসরি গোলা ছুড়ে হত্যাই ইসরায়েলি বর্বরতার নিদর্শন।”
হামাস একে ‘গণহত্যা’ আখ্যা দিয়ে বলেছে, এটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আক্রমণ। সংগঠনটি আন্তর্জাতিক মহল ও যুক্তরাষ্ট্রকে ইসরায়েলকে যুদ্ধবিরতির শর্ত মানতে চাপ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
আল জাজিরার সাংবাদিক হিন্দ খুদারির তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েল এখন গাজার প্রায় ৫৩ শতাংশ এলাকা নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় বহু পরিবার জানতেই পারছে না সেনারা কোথায় অবস্থান করছে।
অন্যদিকে, জাতিসংঘ জানিয়েছে, গাজার প্রায় অর্ধেক জনগণ এখন মারাত্মক পানি ও খাদ্য সংকটে ভুগছে। প্রতিদিন গড়ে একজন বাসিন্দা মাত্র ছয় লিটারেরও কম পানি পাচ্ছেন, যা আন্তর্জাতিক মানবিক মানের নিচে।
বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর থেকে প্রতিদিন সর্বোচ্চ ৫৬০ টন খাদ্যসামগ্রী গাজায় পাঠানো সম্ভব হয়েছে— যা প্রয়োজনের তুলনায় অতি সামান্য।
ইসরায়েল এখনও রাফাহ সীমান্ত ও অন্যান্য প্রবেশপথ বন্ধ রাখায় বিপুল ত্রাণ আটকে আছে। হামাস জানিয়েছে, তারা যুদ্ধবিরতির অঙ্গীকারে অটল এবং ইতিমধ্যে ১০ জন জিম্মির মৃতদেহ ফেরত দিয়েছে। উদ্ধারকাজে বাধা ও ভারী যন্ত্রপাতি প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা থাকায় শত শত মরদেহ এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে।
ফিলিস্তিন
গাজায় নতুন করে ইসরায়েলি হামলা: একই পরিবারের ১১ সদস্য নিহত
যুদ্ধবিরতির মধ্যেও রক্তপাত, নিহতদের মধ্যে ৭ শিশু ও ৩ নারী
