২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে গভীর রাজনৈতিক সংকটে মিয়ানমার। তখন থেকে দেশটি একটি দীর্ঘকালীন সশস্ত্র সংঘাত এবং অভ্যন্তরীণ যুদ্ধের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এরইমধ্যে আসন্ন নির্বাচন ঘিরে বিপাকে পড়েছে মিয়ানমারের জান্তা সরকার।

দেশটির নাগরিকদের জন্য মিয়ানমারের নাগরিকদের অস্থায়ী অভিবাসন সুবিধা, টিপিএস বাতিল করছে যুক্তরাষ্ট্র। মিয়ানমারের পরিস্থিতি এখন যথেষ্ট স্থিতিশীল এবং দেশটির নাগরিকরা নিরাপদে নিজ দেশে ফিরতে পারবেন বলে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে। টিপিএস বাতিলের পর যুক্তরাষ্ট্র ত্যাগের প্রস্তুতিতে থাকা মিয়ানমার নাগরিকদের ইউএস কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার প্রোটেকশন, সিবিপি হোম অ্যাপ ব্যবহারের মাধ্যমে নিজ দেশে ফেরার বিষয়টি জানানোর পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এই টেম্পোরারি প্রোটেকটেড স্ট্যাটাস- টিপিএস প্রোগ্রামের আওতায় প্রায় চার হাজার মিয়ানমারের নাগরিক স্থায়ীভাবে নিরাপত্তা ও কাজের অনুমতি পেত। 

এদিকে, মিয়ানমারে নির্বাচনের পরিবেশ নেই বলে সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং মানবাধিকার সংস্থাগুলো। দেশের বড় অংশগুলো জোট ও সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর নিয়ন্ত্রণে থাকায় বড় অঙ্গরাজ্যগুলোতে সংঘাত এখনো চলছে। এমনকি কারেন ও কারেননি অঞ্চলে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর শাসন চলার কারণে নিয়মিত হামলা চালাচ্ছে জান্তা সেনারা। এছাড়া মাইন, বিস্ফোরকে মৃত্যু এবং মানবিক সহায়তার অভাব দেশটিকে আরও বিপজ্জনক করে তুলেছে। অন্যদিকে, মিয়ানমার সীমান্তে অনিয়মিত অনলাইন প্রতারণা কেন্দ্রগুলোতে কার্যক্রম বাড়ছে। চীনের চাপের মুখে এসব কেন্দ্রে অভিযান চালাচ্ছে জান্তা সরকার। এসব প্রতারণা কেন্দ্রগুলোতে হাজারো বিদেশি নাগরিক কাজ করছেন।