পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মোহাম্মদ আসিফ আফগানিস্তানকে সতর্ক করে বলেছেন, সীমান্তে চলমান উত্তেজনা চূড়ান্ত পর্যায়ে না পৌঁছালে উভয় দেশ “উন্মুক্ত যুদ্ধের” মুখোমুখি হতে পারে। তিনি বলছেন, যদিও দুই দেশই শান্তি চায়, তবে চুক্তি না হলে সংঘাত এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব হবে না।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সীমান্তে কয়েক দিন আগে প্রাণঘাতী সংঘর্ষের পর উভয় দেশ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়। এরপর শনিবার তুরস্কের ইস্তাম্বুলে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের কর্মকর্তাদের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা শুরু হয়। এই আলোচনায় সীমান্তে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা ও উত্তেজনা প্রশমনকে কেন্দ্র করে দু’দিন ধরে বৈঠক চলবে।
খাজা মোহাম্মদ আসিফ বলেন, চুক্তি হওয়ার পর গত কয়েক দিনে নতুন সংঘর্ষ হয়নি এবং উভয় পক্ষই যুদ্ধবিরতি মানছে। তবে যদি চুক্তি না হয়, তাহলে আমাদের বিকল্প হলো উন্মুক্ত যুদ্ধ। তিনি আশা প্রকাশ করেছেন, আফগানিস্তান শান্তিপ্রিয় মনোভাব বজায় রাখবে।
চলতি মাসের শুরুতে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সামরিক বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। ইসলামাবাদ অভিযোগ করে, আফগানিস্তানের ভেতর থেকে পাকিস্তানে হামলা চালানো জঙ্গিদের দমন করতে ব্যর্থ হচ্ছে তালেবান সরকার। পরবর্তীতে পাকিস্তান কাবুলসহ সীমান্তবর্তী প্রদেশে বিমান হামলা চালায়। পাল্টাপাল্টি হামলায় সামরিক ও বেসামরিক মিলিয়ে বেশ কিছু প্রাণহানি ঘটে।
এ সংঘর্ষের কারণে গুরুত্বপূর্ণ সীমান্তপথও বন্ধ হয়ে যায়, যা এখনও খোলা হয়নি। পাকিস্তান দাবি করছে, আফগানিস্তান তাদের বিরোধী জঙ্গিদের আশ্রয় দিচ্ছে, যদিও তালেবান এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে এবং পাকিস্তানের সামরিক অভিযানকে আফগান সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন হিসেবে বিবেচনা করছে।
ইস্তাম্বুলে চলমান আলোচনাকে ২০২১ সালের তালেবান দখলের পর সীমান্তে সবচেয়ে ভয়াবহ সংঘর্ষের পর উত্তেজনা প্রশমনের মূল প্রচেষ্টা হিসেবে দেখা হচ্ছে। দুই দেশই আশা করছে, আলোচনার মাধ্যমে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব হবে এবং সীমান্তে নতুন সংঘাত রোধ করা যাবে।