নেপালের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী সুশীলা কার্কি প্রথমবারের মতো দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও জেন-জি আন্দোলনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এতে অংশ নিয়েছেন ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা অলির দল, কমিউনিস্ট পার্টি অব নেপাল (ইউনিফায়েড মার্ক্সিস্ট-লেনিনিস্ট)-এর নেতারা।

নেপালের সরকারি কর্মকর্তা এবং ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, কার্কি বৈঠকে বলেছেন, সংলাপের অভাব দূর করে আমরা সহযোগিতা এবং আস্থার পরিবেশ তৈরি করতে সক্ষম হয়েছি।

গত সেপ্টেম্বরের বিক্ষোভ-প্রতিবাদের সময় অন্তত ৭৩ জন নিহত হয়। বিক্ষোভকারীরা পার্লামেন্ট, আদালত ও সরকারি অফিসে আগুন ধরিয়েছিল। পরে এই আন্দোলনের কারণে প্রধানমন্ত্রী অলি ক্ষমতাচ্যুত হন। এরপর ৭৩ বছর বয়সী সুশীলা কার্কি দায়িত্ব নেন এবং আগামী নির্বাচনের আগ পর্যন্ত নেতৃত্ব দেবেন।

বৈঠকটি চার ঘণ্টা স্থায়ী হয় এবং এতে প্রধান রাজনৈতিক দল ও তরুণ প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। কার্কি বলেন, নতুন প্রজন্ম, রাজনৈতিক দল ও সরকার সবার লক্ষ্য এক; অবাধ, নিরাপদ এবং সময়মতো নির্বাচন আয়োজন করা।

তার কার্যালয়ের গণমাধ্যম সমন্বয়ক রাম রাওয়াল জানান, বৈঠক আসন্ন নির্বাচনের জন্য আস্থার পরিবেশ গড়ে তুলতে সহায়তা করেছে। বৈঠকে উপস্থিত যোগাযোগমন্ত্রী জগদীশ খারেল বলেন, বৈঠকটি ফলপ্রসূ হয়েছে।

নেপালের অর্থনীতি এই অস্থিতিশীলতায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দেশের জনসংখ্যা প্রায় তিন কোটি, এবং ৮২ শতাংশ শ্রমশক্তি অনানুষ্ঠানিক খাতে কাজ করছে। ২০২৪ সালে মাথাপিছু জিডিপি মাত্র ১,৪৪৭ ডলার।