যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের রাজনীতিক জোহরান মামদানিকে হঠাৎ করেই ইলন মাস্কের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স (সাবেক টুইটার) থেকে সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তিনি ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি আগ্রাসন ও গাজা উপত্যকার মানবিক সংকট নিয়ে সরব ছিলেন।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) এক্স প্ল্যাটফর্মে তিনি ইসরায়েলের চলমান অভিযানে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকার সমালোচনা করে কয়েকটি পোস্ট দেন। এরপরই তার অ্যাকাউন্ট অকার্যকর হয়ে যায়। বিষয়টি নিয়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোতে শুরু হয়েছে তীব্র আলোচনা।
জোহরান মামদানি বলেন, “আমি কোনো ঘৃণামূলক বক্তব্য দিইনি, বরং নির্যাতিত ফিলিস্তিনিদের পক্ষেই কথা বলেছি। অথচ আমাকে নীরব করার চেষ্টা চলছে।”
ইলন মাস্কের নেতৃত্বে এক্স-এ সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ফিলিস্তিনপন্থী কণ্ঠরোধের অভিযোগ আগেও উঠেছিল। এবার মামদানির নিষেধাজ্ঞা সেই বিতর্কে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও রাজনৈতিক পক্ষপাতের অভিযোগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ভূমিকা নিয়ে আবারও প্রশ্ন উঠেছে। অনেকের মতে, “যখন একজন নির্বাচিত প্রতিনিধি নিজের মত প্রকাশ করতে পারেন না, তখন গণতন্ত্রই বিপন্ন হয়।”
ইএফ/