আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এর রায়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় এক অভিযোগে দেওয়া আমৃত্যু কারাদণ্ডের শাস্তি বাড়ানোর জন্য আপিল করবে প্রসিকিউশন।

বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) ট্রাইব্যুনালের প্রাঙ্গণে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম। তিনি জানান, ১৭ নভেম্বর রায় ঘোষণার পর একটি অভিযোগে হাসিনা ও কামালকে আমৃত্যু কারাদণ্ড, অন্য অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। “আমরা রায় পর্যবেক্ষণ করছি। তবে আমৃত্যু কারাদণ্ডকে মৃত্যুদণ্ডে রূপান্তরের জন্য আপিল করার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে,” জানান তামিম।

প্রসিকিউটর আরও জানান, রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করতে হলে ঘোষণার ৩০ দিনের মধ্যে আবেদন করতে হয়। তাই শিগগিরই তারা এ পদক্ষেপ নেবেন। রায়ে দুই নম্বর অভিযোগে মৃত্যুদণ্ডসহ বিভিন্ন ঘটনার বিবরণ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। অভিযোগগুলোর মধ্যে ২০২৪ সালের ১৪ জুলাই গণভবনে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক বক্তব্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি মাকসুদ কামালের সঙ্গে কথোপকথন এবং রংপুরে গুলি চালিয়ে এক জন নিহত করার ঘটনা রয়েছে।

দ্বিতীয় অভিযোগে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র ফজলে নূর তাপস ও জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনুর ফোনালাপের মাধ্যমে আন্দোলনকারীদের অবস্থান নির্ণয় এবং হত্যার নির্দেশ দেওয়ার ঘটনা অন্তর্ভুক্ত। এর ফলে চানখারপুল ও আশুলিয়ায় ছয়জন আন্দোলনকারী নিহত হয়।

রায়ের সঙ্গে যুক্ত অন্যান্য নির্দেশে তাদের সমস্ত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই সম্পত্তি জুলাইয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে বিতরণ করা হবে। পাশাপাশি মামুন নামে অন্য একজন আসামি পাঁচ বছরের কারাদণ্ড পেয়েছেন।

ট্রাইব্যুনালের তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এই রায় ঘোষণা করেছেন, যার নেতৃত্বে ছিলেন বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদার।