চিত্রনায়ক সালমান শাহ হত্যাকাণ্ডের মামলায় নতুন সিদ্ধান্ত এসেছে। তার স্ত্রী সামিরা হক ও খলনায়ক আশরাফুল হক ডন-এর পর এবার সামিরার মা লতিফা হক লিও ওরফে লুসির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।

বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রমনা থানার পুলিশ পরিদর্শক আতিকুল আলম খন্দকার আদালতে আবেদন করেন লুসির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারির জন্য। আদালত আবেদনের পর্যালোচনা করে তাকে ‘স্টপ লিস্টে’ অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশ দেন। আদালতের এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তদন্তের স্বার্থে, যাতে লুসি বিদেশে গেলে মামলার প্রক্রিয়ায় বিঘ্ন না ঘটে।

১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর চৌধুরী মোহাম্মদ শাহরিয়ার ইমন ওরফে সালমান শাহ রহস্যজনকভাবে মারা যান। প্রথমে এই ঘটনাটি অপমৃত্যু হিসেবে রেকর্ড হয়। কিন্তু পরবর্তীতে সালমানের বাবা কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরী অভিযোগ করেন, এটি পরিকল্পিত হত্যা। এরপর মামলাটি দীর্ঘ সময় ধরে আদালতে বিচারাধীন ছিল।

সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জান্নাতুল ফেরদৌস ইবনে হক বাদীপক্ষের করা রিভিশন মঞ্জুর করে মামলাটিকে হত্যা মামলা হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন। এরপর ২১ অক্টোবর মামলার বাদী সালমান শাহর মামা মোহাম্মদ আলমগীর রমনা থানায় মামলা দায়ের করেন।

মামলায় সামিরা হক, তার মা লুসি, শিল্পপতি ও প্রযোজক আজিজ মোহাম্মদ ভাই, খলনায়ক ডন, ডেবিট, জাভেদ, ফারুক, মে-ফেয়ার বিউটি সেন্টারের রুবি, আব্দুস ছাত্তার, সাজু ও রেজভি আহমেদ ফরহাদসহ মোট ১১ জনকে আসামি করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩০২/৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

বাদী মোহাম্মদ আলমগীর উল্লেখ করেন, ১৯৯৬ সালের ওই ঘটনায় সালমান শাহকে নিথর অবস্থায় পাওয়া যায়। তার শরীরের বিভিন্ন অংশে দড়ির দাগ ও নীলচে দাগ ছিল। সালমানকে হাসপাতালে নেওয়া হলেও চিকিৎসক ঘোষণা করেন, তিনি অনেক আগেই মারা গেছেন।

বর্তমানে মামলার তদন্ত প্রক্রিয়া চলমান। সালমান শাহর পরিবারের দাবি, অভিযুক্তরা যদি মৃত্যুবরণ করে থাকেন, তবে প্রমাণ সাপেক্ষে তাদের দায়মুক্ত করা হবে।