ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সঙ্গে শিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্রে যৌথ উদ্যোগ বাড়াতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে পাকিস্তানের উচ্চশিক্ষা কমিশন (এইচইসি)। সোমবার (১ ডিসেম্বর) ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গিয়ে কমিশনের প্রকল্প পরিচালক জেহানজেব খান এ আগ্রহ ব্যক্ত করেন।
সৌজন্য সাক্ষাতে এইচইসির ছয় সদস্যের প্রতিনিধি দলের পাশাপাশি পাকিস্তানের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে দুই দেশের উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থার নানা ধারা, সম্ভাব্য যৌথ উদ্যোগ এবং ভবিষ্যতে গবেষণা নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার বিষয়ে আলোচনা হয়।
জেহানজেব খান বলেন, শিক্ষা খাতে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এখন সময়ের দাবি। বিশেষত উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্রকে এগিয়ে নিতে প্রান্তিক আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করা প্রয়োজন। তিনি উল্লেখ করেন, দক্ষিণ এশিয়ার প্রাচীন ও শীর্ষস্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে একাডেমিক অংশীদারিত্ব পাকিস্তানের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি করবে।
বৈঠকে প্রতিনিধি দল গবেষণা অদলবদল, শিক্ষক প্রশিক্ষণ, যৌথ সেমিনার আয়োজন, উচ্চশিক্ষা মানোন্নয়ন প্রকল্প এবং স্নাতকোত্তর পর্যায়ে সহযোগিতার বিভিন্ন রূপ নিয়ে আলোচনা করে। বিশেষভাবে আলোচনায় উঠে আসে—উদ্ভাবন, প্রযুক্তি, জলবায়ু পরিবর্তন, বায়োটেকনোলজি ও সমাজবিজ্ঞান গবেষণায় যৌথ প্রকল্প নেওয়ার সম্ভাবনা।
ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বৈঠকে বলেন, আধুনিক শিক্ষা ও গবেষণায় আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্ব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বের বিভিন্ন শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বৃদ্ধি, নতুন জ্ঞান অর্জন এবং বৈশ্বিক একাডেমিক পরিমণ্ডলে নিজেদের অবস্থান শক্তিশালী করা সম্ভব। তিনি পাকিস্তানের উচ্চশিক্ষা কমিশনের উদ্যোগকে স্বাগত জানান এবং ভবিষ্যতে যৌথ সহযোগিতার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ইতিবাচক থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বৈঠক শেষে দুই পক্ষই ভবিষ্যতে আরও আনুষ্ঠানিক আলোচনার মাধ্যমে সম্ভাব্য কর্মপরিকল্পনা চূড়ান্ত করার আশা প্রকাশ করে।