ঢাকা কলেজের উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষার্থীরা সোমবার (১ ডিসেম্বর) প্রস্তাবিত ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’-র স্কুলিং মডেল বাতিলের দাবিতে সায়েন্সল্যাব মোড়ে অবরোধ গঠন করে। প্রায় এক ঘণ্টা চলা এই আন্দোলনের কারণে ধানমন্ডি–নীলক্ষেত–এলিফ্যান্ট রোডমুখী প্রধান সড়কগুলোতে যান চলাচল প্রায় সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। পরে শিক্ষার্থীরা দ্রুত লিখিত ঘোষণা পাওয়ার দাবি জানিয়ে অবরোধ তুলে নেন এবং সড়ক স্বাভাবিকভাবে চলাচলের জন্য খুলে দেন।
সকালে বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা সরকারকে তাদের দাবি জানাতে চেয়েছিলেন। অবরোধের কারণে এলিফ্যান্ট রোড থেকে মিরপুর সড়কে প্রবেশপথ বন্ধ হয়ে যায়, পাশাপাশি নীলক্ষেত–নিউমার্কেট থেকে ধানমন্ডিমুখী এবং ধানমন্ডি থেকে নীলক্ষেতগামী সড়কগুলোতেও যান চলাচল স্থবির হয়। হঠাৎ এই অবরোধে সাধারণ যাত্রীদের মধ্যে চরম ভোগান্তি সৃষ্টি হয়। দীর্ঘ সময় গাড়ি আটকে থাকায় বহু মানুষ বাধ্য হয়ে পায়ে হেঁটে গন্তব্যে পৌঁছান।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, ঢাকা কলেজসহ সাতটি সরকারি কলেজ বহু বছরের ইতিহাস, স্বকীয়তা ও সুনামের ওপর দাঁড়িয়ে আছে। নতুন বিশ্ববিদ্যালয় কাঠামো তাদের দীর্ঘদিনের পরিচিতি ও স্বাতন্ত্রকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। শিক্ষার্থীদের মতামত না নিয়েই এই সিদ্ধান্ত নেওয়ায় তারা ক্ষুব্ধ।
উচ্চ মাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী নুরুজ সাফা বলেন, “ঢাকা কলেজের শত বছরের ঐতিহ্য ও পরিচয় নতুন স্কুলিং মডেলের কারণে ঝুঁকির মুখে। আমাদের ভবিষ্যৎ ও স্বকীয়তা রক্ষার স্বার্থেই আমরা শান্তিপূর্ণভাবে রাস্তায় প্রতিবাদ করেছি।”
সরকারি সূত্রে জানা যায়, রাজধানীর সাত সরকারি কলেজকে একীভূত করে ‘ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়’ নামে একটি নতুন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার নীতিগত সিদ্ধান্ত ইতিমধ্যেই নেওয়া হয়েছে। ১২ নভেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে প্রেরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তিও বাতিল করা হয়। শিক্ষার্থীরা আশঙ্কা প্রকাশ করছেন, নতুন কাঠামো তাদের শিক্ষাগত স্বাধীনতা ও ঐতিহ্যকে প্রভাবিত করতে পারে।