দেশের মৎস্য সম্পদ রক্ষা এবং নৌ পথে সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নৌ-পুলিশের দেশব্যাপী বিশেষ অভিযানে গত ৭ দিনে ব্যাপক সাফল্য এসেছে। এই সময়ের মধ্যে অবৈধ জাল, মাছ ও ক্ষতিকারক জেলীযুক্ত চিংড়ি উদ্ধারসহ মোট ২১১ জন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। একইসঙ্গে নদী থেকে ১০টি মরদেহ উদ্ধার করেছে নৌ-পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) নৌ-পুলিশ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
নৌ-পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের চালানো অভিযানে গত ৭ দিনে মোট ২ কোটি ৬৬ লাখ ২ হাজার ৭৭৯ মিটার নিষিদ্ধ ঘোষিত অবৈধ জাল জব্দ করা হয়, যা সঙ্গে সঙ্গেই ধ্বংস করে ফেলা হয়। এছাড়াও, জব্দ করা হয়েছে ২ হাজার ৮১৬ কেজি মাছ এবং ৩০০ কেজি জেলীযুক্ত চিংড়ি। জব্দকৃত চিংড়ি ধ্বংস করা হয়েছে এবং মাছ এতিমখানায় বিতরণ করা হয়েছে। মৎস্য সম্পদ রক্ষায় নৌ-পুলিশ এই সময়কালে ২২৭টি অবৈধ ঝোপঝাড়ও ধ্বংস করে। মাদকবিরোধী অভিযানে ৫ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে।
অবৈধ মৎস্য আহরণ ও নৌ-নিরাপত্তা লঙ্ঘনের ঘটনায় নৌ-পুলিশ মোট ৫৯টি মামলা দায়ের করেছে। এর মধ্যে ২৬টি মৎস্য আইন, ১৫টি বেপরোয়া গতি আইন এবং ১টি নৌ দুর্ঘটনা আইন সম্পর্কিত মামলা রয়েছে। এছাড়াও, বৈধ কাগজপত্র না থাকায় ৭৫টি বাল্কহেডের বিরুদ্ধে নৌ আদালতে প্রসিকিউশন দায়ের করা হয়েছে। নৌ-পুলিশের এই অভিযান দেশের নৌ পথকে নিরাপদ রাখা এবং অবৈধ কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
ইএফ/