নরসিংদী এখন ভূমিকম্প আতঙ্কের শহরে পরিণত হয়েছে।
শুক্রবার (২১ নভেম্বর) ভয়াবহ ভূমিকম্প হওয়ার পরে শুক্রবার (২২ নভেম্বর) সন্ধ্যা থেকে কয়েকবার ভূমিকম্প হয়। একারণে জনমনে বেড়ে যায় ভূমিকম্প আতঙ্ক। এর মাঝে সর্বশেষ রাত ১১টার দিকে বড়ধরনের ভূমিকম্প হবে এমন গুজব ছড়িয়ে পরে শহর জুড়ে। কে বা কারা এমন গুজব ছিড়িয়েছে তা চিহ্নিত করা যায়নি।
তবে শহরের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প হবে এমন সংবাদ মাইকে ঘোষণা করেছে বলেও অনেকে জানান। যার কারণে সাধারণ মানুষ পরিবার পরিজন নিয়ে ঘরবাড়ি ছেড়ে চলে আসেন উন্মুক্ত মাঠে এবং গভীর রাত পর্যন্ত মাঠে অবস্থান করেন। এমনকি অনেকে ঘরের বাহিরে খোলা আকাশের নিচে রাত্রী যাপনও করেছেন।
স্থানীয়রা জানান, লোক মাধ্যম এবং বিভিন্ন আত্মীয় স্বজনের মোবাইল কলের মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে নরসিংদী জেলা শহর এলাকার অনেক মানুষ পরিবার পরিজন নিয়ে নরসিংদী সরকারি কলেজ এবং জামেয়ে কাসেমিয়া কামিল মাদরাসাসহ আশেপাশের খোলা জায়গায় চলে আসেন। এসময় সকলের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছিল। এছাড়া বিভিন্ন বাসা-বাড়ির লোকজন পাটি, মাদুর, বিছানাসহ বাসার বাহিরে এসে খোলা মাঠে অবস্থান করেন।
নরসিংদী গাবতলি এলাকার বাসিন্দা শাহজান জানান, রাত ১১টায় বড় ধরনের ভূমিকম্প হবে এমন সংবাদ চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে আশেপাশের লোকজন পরিবার পরিজন নিয়ে বাসা ছেড়ে মাঠে চলে আসে। তবে এমন সংবাদে আমরা সবায় আতঙ্কিত ছিলাম।
স্থানীয় ওমর ফারুক নামে একজন জানান, এমন আতঙ্ক আমরা সাধারণ মানুষের মাঝে আগে দেখিনি। মানুষজন ভয়ে সন্তান ও পরিবারের সকল সদস্যদের নিয়ে খোলামাঠে চলে এসেছেন।
এদিকে, ঘর-বাড়ি ছেড়ে মানুষ খোলা আকাশের নিচে চলে আসার পর সাধারণ মানুষের খোঁজ নিতে রাতেই মাঠে আসেন নরসিংদী জেলা বিএনপির সভাপতি খায়রুল কবির খোকন। এসময় তিনি সকলকে আতঙ্কিত না হওয়ার আহবান জানান।
শুধু নরসিংদী জেলা শহর নয়, জেলার পলাশ উপজেলার ওয়াপদা গেট এবং পলাশ বাজার এলাকার লোকজনও ভূমিকম্প আতঙ্কে বাড়ির বাহিরে চলে আসেন। আস্তে আস্তে একসময় পরিবেশ কিছু স্বাভাবিক হলে গভীর রাতে বাসা-বাড়িতে ফেরেন মানুষ।
এদিকে, ভূমিকম্প আতঙ্কে নরসিংদী জামেয়া কাসেমিয়া কামিল মাদরাসার সোমবারের সকল পরীক্ষা এবং শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
ইএফ/