রাজধানীর চকবাজারের রহমতগঞ্জ ডালপট্টি এলাকায় সোমবার সকালে দুইটি ভবনে আগুনের ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ বলছে, সরু ও ঘিঞ্জি গলির কারণে আগুন নেভাতে প্রচুর কষ্টের মুখে পড়তে হয় তাদের।

ঢাকা বিভাগের উপপরিচালক মো. ছালেহ উদ্দিন জানান, আগুনের প্রথম ভবনের নিচতলায় ছিল ডালের গোডাউন ও মিল, দ্বিতীয় তলায় কর্মচারীদের আবাসন এবং তৃতীয় তলায় লাগেজ ফিটিংসের কারখানা। অপর ভবনের নিচতলায় ছিল একটি ওয়ার্কশপ, এবং দ্বিতীয় তলায় অফিস।

তিনি বলেন, “পুরান ঢাকার রাস্তা যেমন সংকীর্ণ, তেমনই সরু গলির কারণে বড় পানিবাহী গাড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পারেনি। তাই আমরা গাড়ি থেকে পাইপ টেনে অনেক দূর থেকে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করতে হয়েছে। এটি ফায়ার সার্ভিসের জন্য যথেষ্ট চ্যালেঞ্জিং ছিল।”

ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তার তথ্য অনুযায়ী, ভবনের ভেতরে থাকা ব্যক্তিরা অনেক সময় জানালা বা দরজা কেটে বের হয়। কর্মীরা ঝুঁকি নিয়ে পার্শ্ববর্তী তিনটি ভবনে প্রবেশ করে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছেন। “ভেতরে কাজ এখনও চলছে। পরে আমরা নিশ্চিত করব কেউ আটকা আছে কি না,” তিনি যোগ করেন।

মো. ছালেহ উদ্দিন আরও বলেন, “এই ভবনগুলো কোনো একটি শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত নয়। কিছু ভবন টিনশেড, কিছু পাকা, আবার কিছু সেমি-পাকা। এক ভবন থেকে অন্য ভবনে যাওয়ার জন্য কাঠের সিঁড়ি ব্যবহার করা হয়, যা আগুনের মধ্য দিয়েও ছিল। এটি আমাদের কাজকে আরও বিপজ্জনক করে তোলে।”

স্থানীয়রা জানান, আগুনের কারণে আশপাশের এলাকায় আতঙ্ক তৈরি হয়েছিল। ফায়ার সার্ভিসের দ্রুত তৎপরতার ফলে বড় ধরনের মানবিক ক্ষতি এড়ানো সম্ভব হয়েছে। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও নির্ধারণ করা হয়নি।