কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ পরিসংখ্যানে দেশের মোট বৈদেশিক মুদ্রার গ্রস রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২১৭৮ মিলিয়ন ডলার, অর্থাৎ প্রায় ৩২.১৭ বিলিয়ন ডলার বলে আজ (২৭ অক্টোবর) নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান জানিয়েছেন। একই সময়ে আইএমএফের BPM‑6 পদ্ধতি অনুসারে নিট রিজার্ভ হিসাব করলে মোট রিজার্ভ দাঁড়ায় প্রায় ২৭৩৭৬.৫৯ মিলিয়ন ডলার।
গত ২১ অক্টোবরের পরিসংখ্যানে গ্রস রিজার্ভ ছিল ৩২১০৭.৯১ মিলিয়ন ডলার তুলনামূলকভাবে সামান্য বৃদ্ধি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। রিজার্ভ বৃদ্ধি সাময়িক বৈদেশিক প্রবাহ, রেমিট্যান্স, জিএসটি/কর সংগ্রহ বা বহিঃব্যয়ের নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদি উপাদানের সমন্বয়ে ঘটে বলে বিশ্লেষকরা মন্তব্য করছেন।
বিপিএম‑৬ অনুসারে নিট রিজার্ভ গণনা হচ্ছে মোট রিজার্ভ থেকে স্বল্পমেয়াদি দায় মাইনাস করে। এ হিসাব দেশের মুদ্রাস্ফীতি, রপ্তানি‑আয়‑ওয়ানিং ও সংরক্ষণে আরও বাস্তবসম্মত চিত্র দেয়। অর্থনীতি বিশ্লেষকরা বলছেন, বৈদেশিক মুদ্রার পর্যাপ্ত রিজার্ভ মুদ্রানীতি স্থিতিশীল রাখতে এবং আন্তর্জাতিক লেনদেনে আস্থা সৃষ্টিতে সহায়ক। তবে টেকসই থাকার জন্য রিজার্ভ বাড়ানোর পেছনে আমদানি‑উপদ্রব, রেমিট্যান্স ধারাবাহিকতা ও বৈদেশিক বিনিয়োগও জরুরি।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তরফে এই সময়খণ্ডে রিজার্ভ বৃদ্ধির কারণ ও ভবিষ্যৎ কৌশল নিয়ে আরও বিশ্লেষণ শিগগিরই প্রকাশ করার সম্ভাবনা আছে বিশেষত, বৈদেশিক চাপ সামলাতে ও মুদ্রানীতি প্রণয়নে ব্যাংকটি কী করণীয় নির্ধারণ করবে তা অর্থনীতিবিদদের নজরে থাকবে।
ইএফ/