২০২৫ সালের জুলাই জাতীয় সনদ নিয়ে কোনো আদালতে বৈধতা ও প্রয়োজনীয়তা বিষয়ে প্রশ্ন উত্থাপন যাবে না, এমন সুস্পষ্ট অঙ্গীকার করা হয়েছে চূড়ান্ত সনদে। একইসঙ্গে জনগণের অভিপ্রায় ও ২০২৪ সালের ঐতিহাসিক জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানকে ভিত্তি করে প্রণীত এই সনদ বাস্তবায়নের প্রতিটি ধাপে আইনি ও সাংবিধানিক সুরক্ষা নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) রাজনৈতিক দলগুলোর প্রেরণ করা চূড়ান্ত “জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫”-এ মোট সাতটি অঙ্গীকারনামা লিপিবদ্ধ করা হয়, যা নতুন রাজনৈতিক সমঝোতার ভিত্তি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

গণআন্দোলনের চূড়ান্ত রূপ এই সনদ

সনদে উল্লেখ করা হয়, ১৬ বছরের গণতান্ত্রিক আন্দোলন এবং ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানে হাজারো মানুষের জীবনদানের মাধ্যমে অর্জিত রাজনৈতিক সুযোগের ভিত্তিতে এই সনদ গৃহীত হয়েছে। একে নতুন রাজনৈতিক সমঝোতার দলিল হিসেবে বর্ণনা করা হয়।

সাত দফা প্রধান অঙ্গীকারনামা:

১. গণঅভ্যুত্থানের চূড়ান্ত ফসল হিসেবে জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫-এর পূর্ণ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা হবে।
২. জনগণের অভিপ্রায়ই সর্বোচ্চ আইন, এই নীতিকে ভিত্তি করে সনদকে সংবিধানে তফসিল আকারে সংযুক্ত করা হবে।
3. সনদের বৈধতা ও প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আদালতে প্রশ্ন তোলা যাবে না এবং প্রতিটি ধাপে আইনি ও সাংবিধানিক সুরক্ষা নিশ্চিত করা হবে।
4. গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের জন্য দীর্ঘ সংগ্রাম ও ২০২৪ সালের অভ্যুত্থানকে সাংবিধানিক স্বীকৃতি প্রদান করা হবে।
5. গুম, খুন, নির্যাতন ও গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের বিচার ও শহীদদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা এবং আহতদের পুনর্বাসন নিশ্চিত করা হবে।
6. সনদে উল্লিখিত সংবিধান, বিচারব্যবস্থা, প্রশাসন ও দুর্নীতি দমনসহ সব কাঠামোগত সংস্কার আইনি উপায়ে কার্যকর করা হবে।
7. অবিলম্বে বাস্তবায়নযোগ্য সিদ্ধান্তগুলো দ্রুততম সময়ে অন্তর্বর্তী সরকার বাস্তবায়ন করবে।

ঐকমত্যের ভিত্তিতে ভবিষ্যতের পথরেখা

চূড়ান্ত সনদে বলা হয়, ২০২৪ সালের জনঅভ্যুত্থানের প্রতিফলন হিসেবেই এই সনদ তৈরি হয়েছে এবং এটি গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার একটি রূপান্তরমূলক রূপরেখা হিসেবে কাজ করবে।