দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা জানিয়েছে বাংলাদেশ ওয়েদার অবজারভেশন টিম (বিডব্লিউওটি)। বিশেষ করে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও বান্দরবান জেলাগুলোর কৃষকদের ফসল ও কৃষিজাত পণ্য সংরক্ষণে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) এক সতর্কবার্তায় সংস্থাটি জানায়, ৪ নভেম্বর রাত ১০টা থেকে ৭ নভেম্বর সকাল ১০টা পর্যন্ত টানা ভারী বৃষ্টি হতে পারে। এ সময় কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, বান্দরবান, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, ফেনী, নোয়াখালীসহ পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলোতে বজ্রসহ বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এর মধ্যে বিশেষ করে তিন জেলায় অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
বিডব্লিউওটির আবহাওয়া বিশ্লেষণে বলা হয়, দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বেড়েছে। পাহাড়ি এলাকায় এ সময় ভূমিধসের আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। স্থানীয় প্রশাসনকে পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণের পরামর্শ দিয়েছে সংস্থাটি।
এছাড়া কুমিল্লা, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোণা, ময়মনসিংহ, কিশোরগঞ্জ, নরসিংদী, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, পটুয়াখালী, বরগুনা, বরিশাল ও ভোলা জেলাতেও হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে বলে পূর্বাভাসে উল্লেখ করা হয়েছে।
কৃষকদের উদ্দেশে বিডব্লিউওটি বলেছে, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও বান্দরবানের কৃষকদের উচিত মাঠের পাকা ধান ও অন্যান্য ফসল দ্রুত ঘরে তোলা এবং সংরক্ষণের জন্য নিরাপদ স্থান নির্ধারণ করা। পাশাপাশি গবাদিপশু ও পোলট্রি খামারও উঁচু স্থানে সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তুতি নিতে হবে।
এদিকে, আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, বৃষ্টির এ ধারা ৭ নভেম্বর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। এর পর তাপমাত্রা কিছুটা কমে গিয়ে শীতের সূচনা ধীরে ধীরে স্পষ্ট হতে পারে।