পিলখানা ট্র্যাজেডি নিয়ে নতুন করে তোলপাড় শুরু হয়েছে। শহীদ সেনা কর্মকর্তাদের পরিবার দাবি করেছেন—২০০৯ সালের বিডিআর বিদ্রোহের নেপথ্যে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য এবং ভারতের প্রতি ঝোঁক ছিল তৎকালীন সরকারের। সোমবার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর রাওয়া ক্লাবে বিডিআর তদন্ত কমিশনের প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ তোলেন নিহত বিডিআর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদের ছেলে রাকিন আহমেদ ভূঁইয়া।

তিনি বলেন, পিলখানা হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে সেনাবাহিনীর মধ্যে ভয় দেখানোর বার্তা ছড়ানো হয়েছিল। তার দাবি, ভারতবিরোধী অবস্থান নিলে সেনা কর্মকর্তাদের পরিণতি কী হতে পারে—সেই ইঙ্গিত দিতে এই নৃশংস ঘটনা ঘটানো হয়েছিল। রাকিনের মতে, ঘটনাটির বিচার এখনো অসম্পূর্ণ এবং দায়ীদের বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত অন্য পরিবারগুলোও তদন্ত কমিশনের প্রতিবেদনের আলোকে নতুন করে বিচার কার্যক্রম শুরুর দাবি জানান। তাদের অভিযোগ, পরিকল্পিত হত্যাযজ্ঞের মাধ্যমে বিডিআর বাহিনীকে দুর্বল করা এবং রাজনৈতিকভাবে সুবিধা নেওয়াই ছিল মূল উদ্দেশ্য।

সম্প্রতি প্রকাশিত কমিশন প্রতিবেদনে নতুন করে আলোচনায় এসেছে বিভিন্ন ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর ভূমিকা। পরিবারগুলোর মতে, যেসব নাম প্রতিবেদনে এসেছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা না নিলে ভবিষ্যতে আবারো বড় ধরনের অস্থিরতা সৃষ্টি হতে পারে। তারা বলেন, “যারা রাষ্ট্রের স্বার্থবিরোধী কাজে জড়িত—তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে আরও একদিন পিলখানার মতো ঘটনা ঘটতে পারে।”

তারা আরও দাবি করেন, ঘটনাটির নেপথ্যের সমন্বয়কারীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। অন্যথায়, শহীদ সেনা সদস্যদের প্রতি অবিচার থেকে যাবে এবং দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থাও হুমকির মুখে পড়বে।

২০১৯ সালে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পরও পিলখানা ট্র্যাজেডিকে কেন্দ্র করে অসন্তোষ ও প্রশ্নের অবসান হয়নি। নতুন তদন্ত প্রতিবেদন ও শহীদ পরিবারের দাবি আবারও ঘটনাটিকে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে এসেছে।