চট্টগ্রাম নগরের বাকলিয়া থানাধীন এক্সেস রোড এলাকায় বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে যুবদলকর্মী মো. সাজ্জাদ নিহত হওয়ার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহতের বাবা মো. আলম মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) বাদী হয়ে ১৭ জনকে নাম উল্লেখ করে মামলা করেছেন, এছাড়া অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৪০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সাজ্জাদ আগে ছাত্রলীগের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকারের পতনের পর তিনি যুবদলে যোগ দেন। তিনি চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের বহিষ্কৃত নেতা এমদাদুল হক বাদশার অনুসারী ছিলেন।

বাকলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোজাম্মেল হক জানিয়েছেন, মামলার এজাহারভুক্ত ছয়জনসহ মোট আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার (২৯ অক্টোবর) সকালে গ্রেপ্তারদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

ঘটনার পটভূমি অনুসারে, সোমবার (২৭ অক্টোবর) দিবাগত রাত ১টার দিকে এক্সেস রোড এলাকায় বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ ঘটে। এর ফলে সাজ্জাদ গুরুতর আহত হন। পরে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

এই ঘটনায় স্থানীয়রা উদ্বিগ্ন, কারণ বিএনপির অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের কারণে এলাকায় শান্তি শিথিল হচ্ছে। পুলিশ জানিয়েছে, সকল দায়ীকে আইনের আওতায় আনা হবে এবং হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পূর্ণাঙ্গ তদন্ত চলছে।

চট্টগ্রামের এক্সেস রোড এলাকায় রাজনৈতিক দ্বন্দ্বে তীব্রতা বেড়েই চলেছে, যার শিকার হয়েছেন যুবদলকর্মী সাজ্জাদ।