পুরান ঢাকার আরমানিটোলায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা জুবায়েদ আহমেদের হত্যাকাণ্ডের খুনিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে রোববার (১৯ অক্টোবর) রাত বংশাল থানার সামনে সাধারণ শিক্ষার্থীরা থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেছেন। তারা সড়কে আগুন জ্বালিয়ে অবস্থান নেন।
রাত ১২টার দিকে দুই হাজারেরও বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী থানার সামনে এসে রাস্তা অবরোধ করে। তারা ‘আমার ভাই মরলো কেন, প্রশাসন জবাব দে’, ‘রাস্তাঘাটে ছাত্র মরে, প্রশাসন কি করে?’সহ নানা ধরনের স্লোগান দেয়।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ইমন বলেন, “আজ রাতের মধ্যেই প্রকৃত খুনিদের গ্রেপ্তার করতে হবে। প্রশাসন যদি ব্যর্থ হয় তাহলে আগামীকাল থেকে ঢাকাকে অচল করে দেওয়া হবে।”
এর আগে রাত ১১টা ১০ মিনিটে রাজধানীর বংশাল নূর বক্স রোডের রৌশান ভিলা থেকে নিহত জুবায়েদের ছাত্রী বর্ষা আক্তারকে পুলিশ আটক করে হেফাজতে নেয়।
লালবাগ জোনের ডিসি মল্লিক আহসান উদ্দিন সামী জানান, “প্রাথমিকভাবে ছাত্রীকে আটক করা হয়েছে এবং বাড়ির অন্যান্য সদস্যদেরও হেফাজতে রাখা হয়েছে। সিসিটিভির ফুটেজ বিশ্লেষণ করে ইতোমধ্যে দুইজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারের জন্য মাঠে কয়েকটি টিম কাজ করছে। আশা করি দ্রুত তাদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে।”
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা জুবায়েদকে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তার টিউশনির বাসার সিঁড়িতে ছুরিকাঘাত করে খুন করা হয়। ঘটনার দেড় ঘন্টা পর ক্যাম্পাসে হত্যাকাণ্ডের খবর ছড়িয়ে পড়লে পুলিশ ওই বাসা ঘিরে রাখে। এরপর দীর্ঘ ছয় ঘণ্টার বেশি সময় ধরে পুলিশ ও পিবিআই তদন্ত করে প্রাথমিক আলামত সংগ্রহ করে।
এ ঘটনায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় এবং দেশের বিভিন্ন জায়গায় ছাত্র সমাজ শোক ও রোষ প্রকাশ করেছে এবং দ্রুত বিচার দাবি জানানো হয়েছে।