রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে সহজ ও পরিবেশবান্ধব যাতায়াত নিশ্চিত করতে আগামী নভেম্বর মাস থেকে ১৫টি ই-কার চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন (রুয়া) এই পদক্ষেপের ঘোষণা দিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনের সামনে রুয়ার প্রথম কার্যনির্বাহী সভা শেষে সংগঠনটির সভাপতি ও জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেন,
রুয়ার ইতিহাসে এটি আমাদের প্রথম বৈঠক। আমরা নির্বাচনের সময় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য ই-কার সেবা চালু করব। আশা করছি, নভেম্বরের মধ্যেই এই প্রতিশ্রুতি বাস্তবে রূপ নেবে।

তিনি আরও জানান, ই-কারের সংখ্যা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সংখ্যা ও অ্যালামনাইয়ের অর্থনৈতিক সামর্থ্যের ওপর ভিত্তি করে নির্ধারিত হবে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের কল্যাণে আরও কয়েকটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে— যার মধ্যে রয়েছে মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য স্কলারশিপ প্রদান এবং স্নাতকোত্তরদের চাকরির প্রস্তুতিমূলক প্রশিক্ষণ কর্মসূচি।

রুয়া সভায় এসব বিষয়ে উপকমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (রাকসু) সাধারণ সম্পাদক সালাহউদ্দিন আম্মার রুয়ার এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন,
এই প্রকল্প শিক্ষার্থীদের চলাচল সহজ করবে। আমরা রাকসুর পক্ষ থেকে রুট ও সময়সূচি পরিকল্পনায় কাজ করছি, যেন নির্দিষ্ট ব্যবধানে ই-কারগুলো চলতে পারে। পরিকল্পনা রয়েছে ক্যাম্পাসজুড়ে মেট্রোর মতো সার্ভিস রুট তৈরি করে প্রতি তিন মিনিট পরপর একটি ই-কার নির্দিষ্ট স্টপেজে পৌঁছাবে।

তিনি আরও জানান, ই-কার সেবা একটি অ্যাপ-ভিত্তিক ট্র্যাকিং সিস্টেমে পরিচালিত হবে, যাতে শিক্ষার্থীরা সহজে নিকটবর্তী গাড়ির অবস্থান জানতে পারেন।

উল্লেখ্য, গত ২৬ জুলাই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবারের মতো রুয়ার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। পরে ৩ আগস্ট নবনির্বাচিত কমিটি দায়িত্ব গ্রহণ করে এবং শিক্ষার্থীদের জন্য নানা কল্যাণমূলক পরিকল্পনা বাস্তবায়নের ঘোষণা দেয়।