ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় সাত বছর বয়সী শিশু জায়ান রহমান হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। ঘটনার পাঁচ দিনের মাথায় পুলিশ হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে ইউনুচ মোল্যা (৪৫) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃত ইউনুচ হত্যার শিকার শিশুটির নিকট প্রতিবেশী। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ক্লু হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে— ঝুলন্ত মরদেহ থেকে উদ্ধার হওয়া রশিটিই।
আলফাডাঙ্গা উপজেলার পাকুড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা ইউনুচ মোল্যাকে সোমবার (২৪ নভেম্বর) নিজ বাড়ি থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়। মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) বিকেলে তাকে হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে ফরিদপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে।
আলফাডাঙ্গা থানা সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে গ্রিস প্রবাসী পলাশ মোল্যার ছেলে জায়ান রহমানের ঝুলন্ত মরদেহ বাড়ির পাশের একটি বাগান থেকে উদ্ধার করা হয়। ওই দিনই নিহতের মা সিনথিয়া বেগম অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্তে উদ্ধার হওয়া রশিটি প্রধান সূত্র হয়ে ওঠে। পুলিশ এই রশির আলামত ধরে তদন্ত শুরু করে এবং পার্শ্ববর্তী টাবনী বাজারের একটি মুদি দোকান থেকে রশিটি ক্রয়ের তথ্য পায়। পুলিশ জানতে পারে, ঘটনার ১০ থেকে ১৫ দিন আগে প্রতিবেশী ইউনুচ মোল্যা ওই দোকান থেকে একটি রশি কিনেছিলেন, যার সঙ্গে উদ্ধার হওয়া রশির আশ্চর্যজনক মিল রয়েছে।
এই তথ্যের ভিত্তিতেই ইউনুচ মোল্যাকে সন্দেহের তালিকায় আনা হয়। তবে পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি রশি ক্রয়ের বিষয়টি অস্বীকার করেন, যা পুলিশের সন্দেহকে আরও জোরালো করে তোলে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই সুজন বিশ্বাস জানান, কারাগারের ভেতরে রেখে মামলার নিবিড় তদন্ত পরিচালনা ও হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য উদঘাটনের জন্য ইউনুচ মোল্যাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন জানানো হবে। আলফাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহজালাল আলম বলেন, ঘটনার সঙ্গে আংশিক সম্পৃক্ততা এবং রশি কেনার বিষয়ে মিথ্যা বলার কারণে সন্দেহের সৃষ্টি হওয়ায় তাকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
ইএফ/