মোটরসাইকেল চুরির অভিযোগে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতয়ালী থানা পুলিশ মনিরুজ্জামান (৪১) নামে এক পুলিশ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে। এ সময় তার কাছ থেকে চোরাই মোটরসাইকেলটিও জব্দ করা হয়। অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য ইতোমধ্যে সাময়িক বরখাস্ত ছিলেন এবং রংপুর জেলা পুলিশ লাইনে সংযুক্ত ছিলেন। তার বাড়ি দিনাজপুরের হাকিমপুর থানার পালি এলাকায়।

মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) রাতে মেট্রোপলিটন কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) রফিকুল ইসলাম রফিক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ভুক্তভোগী নুরুন্নবী রেজা জানান, গত ২৪ নভেম্বর রাতে খলিফাপাড়া বনানী জামে মসজিদের সামনে তার ছেলের ব্যবহৃত কালো রঙের সুজুকি জিক্সার ১৫৫ সিসি মোটরসাইকেলটি রেখে তিনি দোকানে প্রবেশ করেন। কিছুক্ষণ পর এসে দেখেন বাইকটি গায়েব। এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে। ফুটেজ দেখে স্থানীয়রা চোরকে শনাক্ত করতে পারে। ভুক্তভোগী ও তার বন্ধুরা অনুসন্ধান চালিয়ে নজিরেরহাট এলাকা থেকে মোটরসাইকেলসহ চোরকে আটক করেন।

জনতা আটক করার পর উত্তেজিত হয়ে তাকে মারধর করলে খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে যায় এবং আহত অভিযুক্ত মনিরুজ্জামানকে হেফাজতে নেয়। তার মাধ্যমেই মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত মনিরুজ্জামান স্বীকার করেছেন যে, ‘কৃষ্ণ’ নামে এক অজ্ঞাত সহযোগীর সঙ্গে মিলেই তারা এই চুরি করেছে। তবে পলাতক সেই সহযোগীর পরিচয় এখনো শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।

রংপুর মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) রফিকুল ইসলাম রফিক বলেন, "মোটরসাইকেল চুরির দায়ে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া পুলিশ সদস্য মনিরুজ্জামানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।" এই ঘটনা পুলিশের ভাবমূর্তির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে এবং জনমনে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।

ইএফ/