আগামী ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিতব্য ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া তিনটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এই আসনগুলো হলো দিনাজপুর-৩, বগুড়া-৭ এবং ফেনী-১।
সোমবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আনুষ্ঠানিকভাবে এই ঘোষণা দেন। একই সঙ্গে তিনি সারাদেশে মোট ২৩৭ আসনে দলের সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “দীর্ঘ ১৬ বছর পরে আগামী জাতীয় সংসদের নির্বাচন পেতে যাচ্ছি। বিএনপির পক্ষ থেকে সেই নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য আমরা ইতোমধ্যে সারাদেশে সব ইউনিটে কাজ শুরু করেছি। এরই ধারাবাহিকতায় আমরা ২৩৭ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণা দিতে যাচ্ছি। আমাদের সঙ্গে যারা যুগপৎ আন্দোলন করেছে, তাদের মধ্যে যেসব আসনে তারা প্রার্থী দিতে চান, সেখানে আমরা প্রার্থী দিইনি। তারা সেসব আসনে প্রার্থী ঘোষণা করবেন।”
নির্বাচনী ইতিহাসে খালেদা জিয়া
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া অতীতে একাধিক নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে সব আসনেই বিজয়ী হওয়ার রেকর্ড গড়েছেন। তিনি মার্চ ১৯৯১ থেকে মার্চ ১৯৯৬ এবং জুন ২০০১ থেকে অক্টোবর ২০০৬ পর্যন্ত দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

- ১৯৯১ সালের নির্বাচন: তিনি পাঁচটি আসনে (বগুড়া-৭, ঢাকা-৫, ঢাকা-৯, ফেনী-১ এবং চট্টগ্রাম-৮) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে সবগুলোতে জয়ী হন। পরে তিনি ফেনী-১ আসনটি বহাল রাখেন।
- ১৯৯৬ সালের নির্বাচন: তিনি পাঁচটি আসনে (বগুড়া-৬, বগুড়া-৭, ফেনী-১, লক্ষ্মীপুর-২ এবং চট্টগ্রাম-১) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে সবগুলোতে বিজয়ী হন এবং ফেনী-১ আসনটি রেখে দেন।
- ২০০১ সালের নির্বাচন: এই নির্বাচনেও তিনি পাঁচটি আসনে (বগুড়া-৬, বগুড়া-৭, ফেনী-১, লক্ষ্মীপুর-২ এবং চট্টগ্রাম-১) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে সবকটিতে জয়ী হন। সেবার তিনি বগুড়া-৬ আসনটি নিজের জন্য রেখেছিলেন।
- ২০০৮ সালের নির্বাচন: তিনি তিনটি আসনে (বগুড়া-৬, বগুড়া-৭, এবং ফেনী-১) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এবং সবকটিতে বিজয়ী হন। তিনি শেষ পর্যন্ত ফেনী-১ আসনটি প্রতিনিধিত্ব করার সিদ্ধান্ত নেন।
এবারের নির্বাচনে খালেদা জিয়া যে তিনটি আসনে লড়বেন বলে ঘোষণা করা হলো, এর মধ্যে বগুড়া-৭ এবং ফেনী-১ আসনটিতে তিনি আগেও একাধিকবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিজয়ী হয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যসহ দলের কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
ইএফ/