ভয়াবহ আগুনে পুড়ছে ঢাকার মহাখালী এলাকার কড়াইল বস্তি।

সাড়ে তিন ঘণ্টা ধরে সেখানে আগুন জ্বললেও পানি সংকটের কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খেতে হচ্ছে ফায়ার সার্ভিসকে।

মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৫টা ২২ মিনিটে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস, এরপর একে একে ১৯টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে যোগ দেয়।

ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা বলছেন, যানজটের কারণে প্রথমে ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে সময় লেগেছে, এরপর সরু গলির কারণে গাড়িগুলো অনেকটা দূরে রেখেই দীর্ঘ পাইপ টেনে পানি ছিটাতে হচ্ছে।

fair-korail-slum-251125-109-1764081124

পানি সংকটের কারণে সড়ে ৭টার দিকে ঘটনাস্থলের পাশে বৌবাজার সংলগ্ন একটি নালায় সেচপাম্প বসিয়ে পানি সরবরাহের চেষ্টা করে ফায়ার সার্ভিস।

এদিকে ঘটনাস্থলের আশপাশে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে, তারপরও মানুষের ভিড় সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের।

বস্তিবাসীর আহাজারীতে আশেপাশের পরিবেশ ভারী হয়ে ওঠেছে। এখনো কোনো হতাহতের খবর না এলেও আগুনে পোড়া অংশের প্রায় সবাই 'সবকিছু' পুড়ে যাওয়ার কথা বলেছেন।

fair-korail-slum-251125-106-1764081009

বস্তির বাসিন্দা সুমন আহম্মেদ বলেন, "আগুনের সময় বাসার বাইরে ছিলাম। আগুনের খবর শুইনা দৌড়াইয়া আইসা দেখি সব শেষ।"

স্ত্রী ও দুই সন্তান নিরাপদে বাসা থেকে বের হতে পারলেও কিছুই সঙ্গে নিয়ে বের হতে পারেননি বলে জানান তিনি।

ফজলু নামে আরেকজন বলেন, আগুনে ৫ শতাধিক ঘর পুড়ে গেছে। আগুন লাগা অংশে ‘কিছুই অবশিষ্ট নেই’।

সালেহা বেগমের কান্না যেন থামছিলই না। বার বার বলছিলেন, "আমি কেমনে বাঁচমু, আমার সব শেষ হইয়া গেল।"

রাত সাড়ে আটটার দিকে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের পরিচালক (অপারেশন ও মেনটেইন্যান্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, “উত্তর পূর্ব দিকে আগুনের তীব্রতা বেশি, সেদিক হয়েই আগুনটা ছড়াচ্ছে। বাকি অংশে আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে।”

তিনি বলেন, শুরুতে মানুষের ভিড় এবং সরু গলির কারণে ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে বেগ পেতে হয়েছে।

সরি গলি হয়ে পাইপ টানার 'চ্যালেঞ্জের' সঙ্গে যোগ হয়েছে কোথাও কোথাও পাইপ কেটে যাওয়ার বিড়ম্বনা।

তার ভাষ্য, "আমরা আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে যাচ্ছি। আরও শক্তি বাড়ানোর চেষ্টা করছি।"