জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ছাত্রদল নেতা ও পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী জোবায়েদ হোসাইন খুনের ঘটনায় প্রেমঘটিত সম্পর্কের জটিলতা উঠে এসেছে পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে। রোববার বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটের দিকে পুরান ঢাকার আরমানিটোলার নুরবক্স লেনের একটি বাসায় খুন হন তিনি।
বংশাল থানার ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, গ্রেপ্তার ছাত্রী বার্জিস শাবনাম বর্ষা স্বীকার করেছেন সাবেক প্রেমিক মাহির রহমানের সঙ্গে তাঁর নয় বছরের সম্পর্ক ছিল, যা সম্প্রতি ভেঙে যায়। বর্ষা মাহিরকে জানান, তিনি নতুন করে জোবায়েদকে পছন্দ করেন। এতে ক্ষুব্ধ মাহির বন্ধুদের নিয়ে পরিকল্পিতভাবে জোবায়েদকে খুন করেন।
ওসি বলেন, “বর্ষার সঙ্গে জোবায়েদের সরাসরি প্রেমের সম্পর্ক না থাকলেও, প্রেমের জটিলতাই এই হত্যাকাণ্ডের সূত্র।”
জোবায়েদ ছিলেন কুমিল্লা জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতির সভাপতি ও জবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক সদস্য। তিনি বর্ষাকে প্রাইভেট পড়াতেন বলে জানা যায়। ঘটনার পর ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বংশাল থানার সামনে বিক্ষোভ ও তাঁতিবাজার মোড় অবরোধ করে রাখেন।
রাত ১১টার দিকে বর্ষাকে হেফাজতে নেয় পুলিশ। ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, “বর্ষা জিজ্ঞাসাবাদে ঠান্ডা মেজাজে ছিলেন, অনুশোচনার কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি। মূল অভিযুক্ত মাহির ও সহযোগীদের ধরতে অভিযান চলছে।”
পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার সকাল পর্যন্ত মামলা হয়নি; তবে হত্যার পুরো চিত্র শিগগিরই পরিষ্কার হবে বলে আশা করা হচ্ছে।