চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে তুচ্ছ ঘটনার জেরে দিনে দুপুরে সহপাঠীরা মোহাম্মদ তানভীর (১৬) নামে এক স্কুল ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। এ ঘটনায় নিহতের পরিবার থানায় মামলা দায়ের করেছে। এতে ৭ জনকে সুনির্দিষ্ট এবং ৭/৮ জন অজ্ঞাতনামাসহ মোট ১৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। 

এদিকে, ওই স্কুল ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যার প্রতিবাদে ও হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি তথা ফাঁসির দাবিতে চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি মহাসড়কের হাটহাজারী মডেল থানার সামনে বিভিন্ন সংগঠনের ব্যানারে মানববন্ধন করেছে স্থানীয় এলাকাবাসী।

শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) রাতে হাটহাজারী মডেল থানার এসআই রূপন নাথ থানায় মামলা দায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। বৃহস্পতিবার রাতে নিহতের মা বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা (নং-২৬) দায়ের করেন। এতে সুনির্দিষ্ট আসামীরা নিহতের সহপাঠী এবং তাদের বাড়ি পৌরসভার ১ ও ৪নং ওয়ার্ডে বলে জানা গেছে। নিহত তানভীর পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের মুন্সি পাড়া এলাকার প্রবাসী আবু তালেবের ছেলে।

এদিকে, স্কুলল ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যার প্রতিবাদে ও হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি তথা ফাঁসির দাবিতে চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি মহাসড়কের হাটহাজারী মডেল থানার সামনে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে নিহতের পিতামাতাসহ উপজেলা ও পৌরসভার বিভিন্ন রাজনৈতিক, স্বেচ্ছাসেবী ও পেশাজীবী এবং সামাজিক সংগঠনের ব্যানারে মানববন্ধন করেছে শত শত স্থানীয় এলাকাবাসী অংশগ্রহণ করেন। মানববন্ধনে বক্তারা এই হত্যাকাণ্ডের সাথে লিপ্ত প্রত্যেক আসামীকে গ্রেফতারপূর্বক এবং সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ডের দাবি জানান। 

প্রসঙ্গত, চলতি মাসের মাঝামাঝিতে পৌরসভার আলীপুর রহমানিয়া উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে কয়েকজন শিক্ষার্থীর সাথে মোবাইলে ভিডিও ধারণ করা নিয়ে বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে, যা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের হস্তক্ষেপে সমঝোতা হয়েছিল। এরপরও ২১ অক্টোবর দুপুরে ওই ঘটনার জের ধরে পৌরসভার রেলস্টেশন সড়কের পুরাতন ইউনিয়ন পরিষদের সামনে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী শিহাবসহ ৭/৮ জন মিলে বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র তানভির ও তার এক বন্ধুকে বেধড়ক পিটুনি দেয়। এতে গুরুতর আহত স্কুল ছাত্র তানভিরকে স্থানীয় লোকজন চমেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ইতোমধ্যে ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তিন সহপাঠীকে গ্রেফতার করেছে জানিয়ে হাটহাজারী থানার ওসি মো. মনজুর কাদের ভূঁইয়া বলেন, নিহত স্কুল ছাত্রের পরিবারের দায়ের করা মামলার সুনির্দিষ্ট তিন আসামীকে আমরা গ্রেফতার করেছি। তাছাড়া মামলার আন্যন্য আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশকে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আশাকরি দ্রুত সময়ের মধ্যে হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত অন্যান্য আসামিদেরও আমরা গ্রেফতার করতে সক্ষম হবো।