নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফেরাতে আপিলের রায় ঘোষণা হবে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর)। প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ এই ঐতিহাসিক রায় ঘোষণা করবেন। টানা দশ দিন শুনানি শেষে দেশের সর্বোচ্চ আদালত আজ এই মামলার রায়ের দিন ধার্য করেন।

বেঞ্চের অন্য ছয় সদস্য হলেন বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম, বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী, বিচারপতি মো. রেজাউল হক, বিচারপতি এস এম ইমদাদুল হক, বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি ফারাহ মাহবুব।

সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী দ্বারা ১৯৯৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এই সংশোধনীকে চ্যালেঞ্জ করে ১৯৯৮ সালে হাইকোর্টে রিট করা হলেও ২০০৪ সালে হাইকোর্ট তা খারিজ করে দেয়। এরপর আপিল করা হলে, ২০১১ সালের ১০ মে আপিল বিভাগের সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিতে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল ঘোষণা করে রায় দেন। ওই রায়ের পর সরকার পঞ্চদশ সংশোধনী আইন ২০১১ সালের ৩০ জুন জাতীয় সংসদে পাস করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার বিলোপ ঘটায়।

এরপর সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচজন বিশিষ্ট ব্যক্তি, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার আপিল বিভাগের ওই রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে আবেদন করেন।

গত ২১ অক্টোবর নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফেরাতে আপিলের শুনানি শুরু হয়। রিটের পক্ষে আইনজীবী ড. শরীফ ভূঁইয়া, বিএনপির পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে অ্যাডভোকেট মোহামদ শিশির মনির এবং রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান শুনানি করেন। এই রায়ের ওপর দেশের রাজনৈতিক মহল ও জনগণের মনোযোগ রয়েছে।

ইএফ/