রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) কর্মকর্তাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দিয়েছেন উপ-পরিচালক (অর্থ) মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান। যা অনুযায়ী, অগ্রিম অর্থ নেওয়া সমন্বয়বিহীন বিল দ্রুত জমা না হলে ভবিষ্যতে কোনো নতুন অগ্রিম দেওয়া হবে না।
এই অফিস আদেশে বলা হয়েছে, ৬ মাসের বেশি সময় ধরে অপরিশোধিত বা অসমন্বিত বিল থাকলে সেটি অবশ্যই সমন্বয় করতে হবে। এ ধরনের বিল সমন্বয় না করলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে আর্থিক দায়ভার হিসেবে বিধি অনুসারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সাথে, কর্মকর্তাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তাদের পরিচালনায় থাকা বিভিন্ন স্থানে উচ্ছেদ বা মোবাইল কোর্টের জরিমানা আদায়, জ্বালানি বিল এবং গাড়িভাড়া সংক্রান্ত টাকার হিসাবসহ রশিদ প্রমাণাদি একত্রিত করে হিসাব শাখায় নিজ নিজ খাতে পরিমাণ–বৈধতা যাচাইয়ের জন্য জমা দিতে।
রাজউক সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এই সিদ্ধান্ত মূলত অগ্রিম অর্থ ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ বাড়াতে এবং বিল জমার প্রক্রিয়া দ্রুত ও স্বচ্ছ রাখতে নেওয়া হয়েছে। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, “অগ্রিম গৃহীত সমন্বয় বিল দাখিল না করা পর্যন্ত নতুনভাবে কোনো অগ্রিম অর্থ প্রদান করা হবে না।”
এ নির্দেশনায় রাজউকের উদ্দেশ্য হলো: অগ্রিম অর্থ ব্যবহারে সময়সাপেক্ষ বিলিং প্রক্রিয়া বন্ধ করা।
৬ মাসের বেশি সময় ধরে সমন্বয় ছাড়া পড়ে থাকা বিল দ্রুত সমন্বয় করা।
নির্ধারিত খাতে যে সমস্ত রশিদ, বিল ও খরচ আছে, সেগুলোর হিসাব স্বচ্ছভাবে প্রদানের জন্য দায়বদ্ধ করা।
এই প্রচলিত নির্দেশনাটি কর্মকর্তাদের জন্য অগ্রিম অর্থ ব্যবহারে একটি সতর্ক সংকেত স্বরূপ। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের এখন থেকে অগ্রিম নেওয়ার পর নিম্নলিখিত বিষয়গুলো নিশ্চিত করতে হবে: ১) অগ্রিম মূলক অর্থ নেওয়ার পর সংশ্লিষ্ট স্থানে খরচ ও বিল প্রদান সম্পন্ন হয়েছে কি না; ২) উচ্ছেদ / মোবাইল কোর্ট জরিমানা প্রশাসনের দৃষ্টিতে বৈধভাবে আদায় হয়েছে কি না; ৩) জ্বালানি ও গাড়ি ভাড়া সংক্রান্ত খরচের রশিদ ও বিলে প্রয়োজনীয় তথ্য সংযুক্ত আছে কি না; ৪) সব খরচ ও রশিদ সময়মতো হিসাব শাখায় জমা দেওয়া হয়েছে কি না।
এ নির্দেশনার আলোকে আগামী সময়ে রাজউকের অর্থবহ কাজগুলো আরও সুশৃঙ্খল ও নিয়ন্ত্রিত হবে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।