শেরপুরে জামায়াতে ইসলামীর নির্বাচনী গণসংযোগে হামলার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। এতে অন্তত ১৫ জন জামায়াত নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে, পাল্টাপাল্টি মিছিল করেছে উভয় দলই।

ঘটনাটি ঘটে শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) বিকেলে সদর উপজেলার চরপক্ষীমারী ইউনিয়নের ডাকপাড়া এলাকায়। পরদিন (২৫ অক্টোবর) স্থানীয় গণমাধ্যমে সংবাদটি প্রকাশিত হয়।

জামায়াতের মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী হাফেজ রাশেদুল ইসলাম অভিযোগ করেন, “গণসংযোগ শুরু করলে স্থানীয় বিএনপির একটি অংশ বাধা দেয়। শান্তিপূর্ণভাবে বোঝানোর চেষ্টা করলেও তারা লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালায়। এতে আমাদের অন্তত ১৫ জন কর্মী আহত হয়েছেন, কয়েকজন হাসপাতালে ভর্তি।”

তিনি আরও জানান, হামলায় আহতদের মধ্যে শেরপুর পৌর জামায়াতের সেক্রেটারি ডা. হাসানুজ্জামান, শিবিরের সাবেক জেলা সভাপতি শহীদুল ইসলাম স্বপনসহ কয়েকজন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় শেরপুর সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “চরপক্ষীমারীর ঘটনায় বিএনপির কেউ জড়িত নয়। আমাদের ওপর মিথ্যা অভিযোগ চাপিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা নেওয়ার চেষ্টা চলছে।”

পুলিশ জানায়, অভিযোগ পেয়েছে তারা এবং ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুবাইদুল আলম বলেন, “পুলিশ নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সর্বদা প্রস্তুত। তদন্ত অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

হামলার প্রতিবাদে সন্ধ্যায় জামায়াতের নেতা-কর্মীরা শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। এর কিছু সময় পর বিএনপির একটি গ্রুপও পাল্টা মিছিল করে।

ইএফ/