জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থান ছিল ছাত্র-জনতার ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামের ফসল—এমন মন্তব্য করে রাজনৈতিকভাবে সেই আন্দোলনের অর্জন নিজেদের হিসাবে নেওয়ার চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তার দাবি, আন্দোলনে সব দলের ছাত্রনেতারা ভূমিকা রাখলেও ফসল ঘরে তুলতে বিএনপি ও জামায়াত সমানভাবে এগিয়ে এসেছে।

সোমবার (১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির কার্যালয়ে সংহতি জানানো এবং আরব আমিরাতে জুলাই আন্দোলনে গ্রেপ্তার হয়ে কারাবন্দি থাকা প্রবাসীদের মুক্তি উপলক্ষে আয়োজিত শুকরানা ও দোয়া মাহফিলে নাহিদ এসব অভিযোগ তোলেন।

নাহিদ ইসলাম বলেন, এনসিপি হলো গণঅভ্যুত্থান-উত্তর প্রেক্ষাপট থেকে উঠে আসা নতুন রাজনৈতিক শক্তি। “আমরা কখনো বলিনি, গণঅভ্যুত্থান শুধু এনসিপির অর্জন। কিন্তু যখন আন্দোলনে আহত, নিহতদের দায়িত্ব নেওয়ার প্রসঙ্গ আসে কিংবা কারাবন্দি প্রবাসীরা সহায়তা চাইতে যান, তখন অনেকেই দায়িত্ব এড়িয়ে এনসিপির দিকে ঠেলে দেয়।”

সংস্কার ইস্যুতে ভেতরের দ্বন্দ্ব ও বাহ্যিক বাধার কথাও তুলে ধরেন তিনি। তার ভাষায়, “সংস্কার অগ্রযাত্রাকে নানাভাবে বাধাগ্রস্ত করা হয়েছে। একটি দল প্রকাশ্যে, আরেকটি দল গোপনে সংস্কারের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। ফলে ঐক্যমতের সংস্কার প্রক্রিয়া এগোতে পারেনি।”

আরব আমিরাত থেকে মুক্তি পাওয়া প্রবাসীদের ‘জুলাই আন্দোলনের সৈনিক’ বলে উল্লেখ করে নাহিদ ইসলাম বলেন, তাদের আগেই মুক্তি দেওয়া উচিত ছিল। তিনি যোগ করেন, “সরকার না পাল্টালে তারা মুক্তি পেত না। ঝুঁকি জেনেও তারা রাস্তায় নেমেছিল। তাদের সম্মান নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব।”

দোয়া মাহফিলে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সুস্থতাও কামনা করেন তিনি। বলেন, “তার অবদান গণতন্ত্র ও সার্বভৌমত্বের সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ। আশা করি তিনি আরও অনেকদিন আমাদের মধ্যে থাকবেন।”