বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ঘোষণা করেছে সরকার। সোমবার (১ ডিসেম্বর) এ নিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে দ্রুতই তার নিরাপত্তায় এসএসএফ (স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স) নিয়োগ করা হবে বলেও জানানো হয়।
খালেদা জিয়া বহু বছর ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দুই মামলায় খালেদা জিয়াকে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছিল। দুই বছরের বেশি সময় তিনি কারাবন্দি ছিলেন।
করোনা মহামারি চলাকালে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ তৎকালীন সরকার নির্বাহী আদেশে তাঁর সাজা স্থগিত করে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি দেয়। এরপর ছয় মাস পরপর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তার সাজা স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ বাড়ায় ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার। যদিও চিকিৎসার জন্য তাঁকে বিদেশ যেতে দেয়া হয়নি।
গত বছরের ৫ আগস্টের গণ–অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর খালেদা জিয়া মুক্তি পান। এরপর চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যান খালেদা জিয়া। চিকিৎসার জন্য ১১৭ দিন লন্ডনে অবস্থান শেষে গত ৬ মে দেশে ফেরেন তিনি। এরপর নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে নেয়া হয় বিএনপি চেয়ারপারসনকে।
সবশেষ গত রোববার (২৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় খালেদা জিয়াকে। সোমবার (১ ডিসেম্বর) বিকেলে তাঁর চিকিৎসা সহায়তায় চীন থেকে আসা পাঁচ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে পৌঁছেছেন। মূল চিকিৎসক দল আসবে আগামীকাল (মঙ্গলবার)।