মানিকগঞ্জের সিটি ড্রিম কনভেনশন হলে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমন্বয় সভায় তীব্র বাকবিতণ্ডায় উত্তপ্ত ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় জেলা সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রনেতা ওমর ফারুক দাবি করেন সভায় “ছাত্রলীগ ও জামায়াতের লোক” রয়েছে; এই মন্তব্যে প্রতিবাদ উদ্রেক হলে এনসিপির উত্তরাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম তাকে মঞ্চ থেকে সরান এবং পরিস্থিতি শান্ত করেন।
ঘটনার সূত্রপাত বিকেলে ওমর ফারুকের তীব্র ভাষ্য থেকেই; তিনি সঙ্গতভাবে দলীয় ও নেতৃবৃন্দের কাছে সতর্কবার্তা দেন যে, আগামী নির্বাচনে যারা ‘জুলাই সনদ’ বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হবে এবং জাতীয় স্বার্থে কাজ করবে তাই তাদের সঙ্গে অংশগ্রহণ করা হবে। সারজিস আলম বলেন, এনসিপি শাপলা প্রতীক পাবে যদি নির্বাচন কমিশন আইনগত কোনো ব্যত্যয় না ঘটায়। তিনি জোর দিয়ে বলেন, নির্বাচন কমিশনকে পুনর্গঠন ছাড়া দেশের ভবিষ্যৎ সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।
সারজিস আরো যোগ করেন, ফেব্রুয়ারি সময়ে নির্বাচন হলে এনসিপির আপত্তি নেই; তবে আগে আইনগত ও বিচারিক গঠনতন্ত্রে দৃশ্যমান অগ্রগতি চাই। তিনি দাবি করেছেন জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ও বাস্তবায়ন নিশ্চিত হলে এনসিপি ঐকমত্যে অংশ নেবে। সভার উত্তেজনা ফুরালেও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে অনাস্থা ও স্থানীয় স্তরে সমন্বয়ের ঘাটতি স্পষ্ট হলো।
এনসিপি নেতাদের বক্তব্যে উঠে এসেছে রাজনীতিতে স্বচ্ছতা, বিচারপ্রক্রিয়ার দৃশ্যমানতা এবং নির্বাচন ব্যবস্থার স্বাধীকারিতা না থাকলে বৃহত্তর গণভাগী অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা কঠিন। স্থানীয় পর্যায়ের এই ঘটনাগুলো পারস্পরিক আস্থার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা আলোচনা করছেন।
ইএফ/