বিপিএলের দ্বাদশ আসরের নিলামে এক দশকেরও বেশি সময় পর নতুনভাবে আলোচনায় উঠে আসেন অভিজ্ঞ ব্যাটার ও উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিম। প্রথম ডাকেই দল না পেলেও শেষ পর্যন্ত ‘বি’ ক্যাটাগরি’তেই তাকে দলে ভিড়ায় রাজশাহী ওয়ারিয়র্স। সরাসরি চুক্তিতে আগেই দলে যুক্ত হওয়া নাজমুল হোসেন শান্ত এবার জানালেন মুশফিককে দলে নেওয়া ছিল পুরো টিম ম্যানেজমেন্টের যৌথ সিদ্ধান্ত।
নিলাম শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শান্ত বলেন,
“মুশফিক ভাই বাংলাদেশের ক্রিকেটে দীর্ঘদিন ধরে অসাধারণ অবদান রেখে চলেছেন। তাকে দলে পেতে আমাদের আগ্রহ ছিল শুরু থেকেই। কোচ, ম্যানেজমেন্ট ও মালিকপক্ষ সবাই মিলেমিশেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এমন একজন গুরুত্বপূর্ণ ও অভিজ্ঞ ক্রিকেটার আমাদের স্কোয়াডে বড় ভূমিকা রাখবেন, এতে কোনো সন্দেহ নেই।”
নিলামের প্রথম ধাপে কোনো দল মুশফিককে ডাক না দেওয়ায় প্রশ্ন উঠেছিল তার ক্যাটাগরি নিয়ে। তবে রাজশাহী শেষ পর্যন্ত দাম না কমিয়েই তাকে দলে নেয়। এই সিদ্ধান্তের কৃতিত্ব দিতে ভুল করেননি শান্ত।
তিনি বলেন,
“এটা সত্যিই চমৎকার সিদ্ধান্ত ছিল। রংপুর রাইডার্স প্রথম থেকেই বলেছিল, তার ক্যাটাগরি কমানো উচিত নয়। তাদের এই অবস্থানকে আমি সম্মান জানাই। মুশফিক ভাইয়ের প্রাপ্য সম্মান কেউ যেন ভুলে না যায় এটা খুব ইতিবাচক বার্তা।”
স্থানীয় ক্রিকেটারদের নিয়েও সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন জাতীয় দলের এ তরুণ তারকা।
শান্ত বলেন,
“আমরা যে স্থানীয় ক্রিকেটারদের পেয়েছি তাদের পারফরম্যান্স সাম্প্রতিক সময়ে দারুণ। ঘরোয়া লিগের ফর্মও অত্যন্ত ভালো। আশা করি সবাই বিপিএলেও একই ধারাবাহিকতা দেখাবে।”
দলের স্কোয়াডে জায়গা পেয়েছেন তানজিদ হাসান তামিম, মোহাম্মদ নওয়াজ, সাহিবজাদা ফারহান, তানজিম হাসান সাকিব, ইয়াসির আলী চৌধুরী, আকবর আলীসহ বেশ কয়েকজন তরুণ পারফরমার। অভিজ্ঞতা ও তরুণ শক্তির মিশ্রণে সাজানো এই দলে মুশফিকের অন্তর্ভুক্তি রাজশাহীকে আরও ভারসাম্যপূর্ণ করেছে।
দীর্ঘ নিলাম প্রক্রিয়ার পর দল পাওয়া মুশফিক এখন রাজশাহীর ব্যাটিং অর্ডারকে দৃঢ় করার পাশাপাশি তরুণদের পরামর্শেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন—এমনটাই বিশ্বাস শান্ত ও দলীয় ব্যবস্থাপনার।