মুম্বাইয়ে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে ৪৮ ওভার ৪ বল খেলে শ্রীলঙ্কা সব উইকেট হারিয়ে ২০২ রান সংগ্রহ করে। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৮৫ রান করেন পেরেরা। বাংলাদেশের হয়ে ২৭ রানে ৩ উইকেট শিকার করেন স্বর্ণা আক্তার।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই সাজঘরে ফেরেন রুবাইয়া হায়দার ঝিলিক। ৫ বল খেলেও রানের খাতা খুলতে পারেননি তিনি। আরেক ওপেনার ফারজানা হকও সুবিধা করতে পারেননি এবং ৩৫ বলে মাত্র ৭ রান করেন।
চারে নেমে দ্রুত আউট হন সুবহানা মুস্তারিও, ১৩ বলে ৮ রান করেন তিনি। ৪৪ রানে ৩ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এরপর দলের হাল ধরেন নিগার সুলতানা জ্যোতি ও শারমিন আক্তার সুপ্তা। তারা ৬৪ রানের জুটি গড়ে দলের লড়াই শক্ত রাখেন, তবে সুপ্তা চোটে মাঠ ছাড়েন।
এরপর স্বর্ণাকে সঙ্গে নিয়ে ভালো লড়াই চালান জ্যোতি। কিন্তু ১৯ রান করে স্বর্ণা আউট হওয়ার পর ধস নামে বাংলাদেশের ব্যাটিং অর্ডারে। রিতু ও রাবেয়া কেউই সুবিধা করতে পারেননি। জ্যোতি শেষ ওভারে আউট হওয়ার আগে করেন ৭৭ রান।
শেষ ওভারে বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল ৯ রান। চামারি আতাপাত্তুর প্রথম বলেই লেগ বিফোরে রাবেয়া আউট হন। পরের বলে রান নিতে গিয়ে আউট হন নাহিদা আক্তার। তৃতীয় বলে জ্যোতি ক্যাচ দিয়ে আউট হন। চতুর্থ বলে মারুফা লেগ বিফোরে আউট হন। শেষ দুই বলে বাংলাদেশ করতে পায় মাত্র ১ রান, ফলে ৭ রানের হারে হেরে সেমিফাইনালের স্বপ্ন শেষ হয়।
শুরুতে শ্রীলঙ্কার নতুন বলের আক্রমণে রীতিমতো ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। মারুফা ইনিংসের প্রথম বলেই ভিষমি গুনারত্নেকে এলবিডব্লিউ আউট করে দলকে প্রথম ব্রেকথ্রু দেন। আতাপাত্তু ও পেরেরা দলকে শক্ত ভিত্তি গড়ে দেন দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৭২ রান যোগ করে। পেরেরা ৮৫ রানে আউট হলেও অন্য ব্যাটসম্যানরা সঙ্গ দিতে পারেননি।
বাংলাদেশের হয়ে স্বর্ণা আক্তার ২৭ রানে ৩ উইকেট নেন, রাবেয়া খান ৩৯ রানের খরচায় ২ উইকেট নেন। এই হারে সেমিফাইনালের স্বপ্ন ভেঙে যায় বাংলাদেশের।